প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লোহা ও ... বিশদ
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শনিবার মিয়াঁদাদ জানিয়েছেন, ‘সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ভারতীয় ক্রিকেটে আমার সবচেয়ে পছন্দের খেলোয়াড় কে? দ্বিতীয়বার না ভেবে বিরাট কোহলির নামই বলেছি। ওর সম্পর্কে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন নেই। পারফরম্যান্সই কোহলির পক্ষে কথা বলে। বিরাট একজন ক্লিন হিটার। ওর শটগুলো দেখুন। ভিকে’কে ব্যাট করতে দেখলে ভালো লাগে। ক্লাস আছে।’ দক্ষিণ আফ্রিকার মতো কঠিন সফরেও বিরাটের ঝলমলে পারফরম্যান্সের প্রশংসা করতে ভোলেননি ৬২ বছর বয়সী প্রাক্তন পাক তারকাটি। বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেও খুব ভালো খেলেছিল বিরাট। কঠিন উইকেটেও হাঁকিয়েছিল সেঞ্চুরি। বাউন্সযুক্ত পিচে পেসারদের খেলার সময়ও সে ভয় পায় না। আবার স্পিনারদেরও সামলাতে পারে সাবলীল ভঙ্গিতে। সত্যি বলতে কী, আমি ওর ব্যাটিংয়ের একজন বড় অনুরাগী।’ এই মুহূর্তে ভারত অধিনায়কের ব্যাটে রান আসছে না। নিউজিল্যান্ডে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১১ ইনিংসে মাত্র ২১৮ রান করেছেন কোহলি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর শেষ সেঞ্চুরিটি এসেছিল গত নভেম্বরে ইডেনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দিন-রাতের টেস্টে। তবে মিয়াঁদাদের বিশ্বাস, কোহলির মতো ক্লাস ব্যাটসম্যান চেনা ছন্দে ফিরতে খুব বেশি দিন সময় নেবেন না।
দেশের ক্রিকেটের উন্নতির ক্ষেত্র্রে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে ভারতের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে বলেছেন মিয়াঁদাদ। তাঁর কথায়, ‘ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া প্রত্যেক সিরিজের জন্য আলাদাভাবে দল বেছে নেয়। আগের সিরিজে কেউ ৫০০ রান করলেও তা ভুলে যাওয়া হয়। সম্ভবত পাকিস্তানই একমাত্র দল যেখানে টানা ১০টি ইনিংসে ব্যর্থ হয়েও খেলে যাওয়া যায়। আর এই কারণেই পাক দলে প্রচুর সমস্যা। অন্যদিকে ভারতের দিকে তাকান। দেখবেন নিয়মিত ৭০, ৮০,১০০, ২০০ রানের ইনিংস খেলে যাচ্ছে ওদের ব্যাটসম্যানরা। একেই বলে পারফরম্যান্স!’ সেইসঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘এই পাকিস্তান দলে এমন একজন ব্যাটসম্যান কি আছে, যে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড কিংবা ভারতের মতো দলের হয়ে খেলার যোগ্যতা রাখে? আমার উত্তর না। আমাদের এমন কোনও ব্যাটসম্যান নেই যে এই দলগুলোর হয়ে খেলতে পারে। তবে পাকিস্তানে ভালো মানের বেশ কয়েকজন বোলার রয়েছে।’