মানসিক অস্থিরতার জন্য পঠন-পাঠনে আগ্রহ কমবে। কর্মপ্রার্থীদের যোগাযোগ থেকে উপকৃত হবেন। ব্যবসায় যুক্ত হলে শুভ। ... বিশদ
হায়দরাবাদে শুক্রবার ২০৭ রান তুলেও ম্যাচ জিততে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে দলকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়ে ভারতকে জয় এনে দেন কোহলি। ৫০ বলে তাঁর অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংস খেলার পথে ক্যারিবিয়ান বোলার কেসরিক উইলিয়ামসকে বছর দুয়েক আগের একটা হিসেবও চুকিয়ে দেন ভারত অধিনায়ক। ১৬তম ওভারে উইলিয়ামসকে ছক্কা হাঁকিয়ে অভিনব এক সেলিব্রেশন করেন বিরাট। পকেট থেকে নোটবুক বের করার ইঙ্গিতে তার উপর খসখস করে কিছু লেখার ভান করেন ‘ভিকে’। দু’ বছর আগে ঠিক যেমনটা করেছিলেন উইলিয়ামস। ২০১৭ সালে কোহলির উইকেট নিয়ে নোটবুক স্টাইলেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এতদিন তা মনেও রেখেছিলেন ভারতীয় মহাতারকা। সুযোগ আসতেই তার মোক্ষম জবাব দিলেন তিনি। ম্যাচের সেরা পুরস্কার নিয়ে কোহলি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আসলে দু’বছর আগে জামাইকায় উইলিয়ামস আমাকে আউট করে নোটবুক সেন্ড-অফ জানিয়েছিল। সেটা আমার মনে ছিল। আমিও ওর বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সেটাই ফিরিয়ে দিলাম। তবে ম্যাচ শেষ হলে আমাদের মধ্যে আর কোনও তিক্ততা থাকে না।’
কোহলি ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দিতে না চাইলেও থেমে থাকেননি তাঁর অনুরাগীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘নোটবুক সেলিব্রেশন’ নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। কমেন্ট করেছেন অমিতাভ বচ্চনও। মাইক্রোব্লগিং সাইটে নিজের বিখ্যাত সিনেমা ‘অমর-আকবর-অ্যান্টনি’র ডায়লগ তুলে ধরে কোহলির প্রশংসা করেন তিনি। প্রতিপক্ষকে সতর্ক করে দিয়ে হিন্দিতে অমিতাভ যা লিখেছেন, তার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘বন্ধু, কতবার তোমাকে বলেছি যে বিরাটকে রাগিও না, রাগিও না, রাগিও না। কিন্তু তুমি তো আমার কথা শোনোই না। শেষমেশে চিঠি লিখে তোমার হাতে তা ধরিয়ে দিল তো! ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের চেহারা দেখে খারাপ লাগছিল। কী মারটাই না খেয়েছে ওরা!’ অমিতাভের কমেন্ট নজর এড়ায়নি বিরাটেরও। প্রত্যুত্তরে কোহলি লেখেন, ‘ডায়লগটা আমার ভীষণ পছন্দের। আপনি সব সময় আমার অনুপ্রেরণা।’