পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
এ প্রসঙ্গে, রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর ও সেচদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, গঙ্গা ভাঙন রোধে এখনও পর্যন্ত যা কাজ হয়েছে তা আমাদের সরকারই করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার কোনও সহযোগিতা করেনি। একটা টাকাও দেয়নি।
ফরাক্কা ও সামশেরগঞ্জের গঙ্গা ভাঙনের সমস্যী দীর্ঘদিনের। বছরের পর বছর বহু মানুষ এই গঙ্গা ভাঙনের জেরে হারিয়েছেন জমিজমা, সম্পত্তি, বসতবাড়ি।
দীর্ঘদিন ধরে গঙ্গা ভাঙনের জেরে মালদহ সহ মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ও সামশেরগঞ্জের এই দু’টি ব্লকে সর্বস্বান্ত হয়েছে বহু মানুষ। তলিয়ে গিয়েছে ঘরবাড়ি, জমি জায়গা। কিন্তু স্থায়ী ও বিজ্ঞানসম্মতভাবে গঙ্গা ভাঙন রোধের কাজ এখনও হয়নি। গঙ্গা ভাঙন রোধের দায়িত্ব কেন্দ্র সরকারের হলেও এবিষয়ে তারা কোনও ভূমিকাই পালন করেনি বলে রাজ্যের শাসকদলের দাবি।
এলাকাবাসীর কথা ভেবে রাজ্য সরকারই ভাঙন রোধের কাজে এগিয়ে আসে। মাস কয়েক আগে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে ভাঙন রোধে জন্য একশো কোটির বেশি টাকা বরাদ্দ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বর্ষার মরশুমে কেবলমাত্র অস্থায়ীভাবে গঙ্গার ভাঙন রোধের কাজ করা হয়। কিন্তু তাতে কাজের কাজ হয় না বলেই মনে মত স্থানীয়দের একাংশের। গঙ্গা ভাঙন রুখতে কোনও সরকারই এখনও পর্যন্ত স্থায়ী পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে এবার গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধ অ্যাকশন নাগরিক কমিটি সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ভাঙন রোধের স্থায়ী সমাধানের বিষয়ে আবেদন করেছেন। সংগঠন চাইছে, নির্বাচনের যে দলের প্রার্থীই জিতুন না কেন, সংসদে গঙ্গা ভাঙনের বিষয়টি তুলে ধরেন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ প্রসঙ্গে, মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রের শাসকদলের প্রার্থী শাহানাওয়াজ আলি রায়হান বলেন, মালদহ ও মুর্শিদাবাদের ভাঙন একটা বড় সমস্যা। আমি কাজ করার সুযোগ পেলে কেন্দ্রের কাছ থেকে ভাঙন রোধের স্থায়ী সমাধান ছিনিয়ে নিয়ে আসব। যে কাজটা আগের জনপ্রতিনিধিরা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী বলেন, আমি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সঙ্গে আছি। আমি তাঁদের সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করব। কেন্দ্র সরকার অর্থ বরাদ্দ করলেও রাজ্য সরকার সঠিকভাবে অর্থ ব্যয় করে না। গঙ্গা ভাঙন নিয়ে সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরীও।