পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
ভোট যত এগিয়ে আসছে আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে হিংসার ঘটনা ততই বাড়ছে। আরামবাগ শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী রকি মালিক গত ২২ এপ্রিল বিজেপির হাতে আক্রন্ত হন। ভোজালি দিয়ে আক্রমণ করা হয়। তিনি প্রাণে বাঁচলেও হাতে গুরুতর চোট পান। হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে আরামবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এই ঘটনার কয়েকদিন পরই গোঘাটের পশ্চিমপাড়া পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার করতে বেরিয়ে তৃণমূল কর্মী জনার্দন দত্ত আক্রান্ত হন। তাঁকে মারধর ও গলায় ব্লেড চালানো হয়। তিনি গুরুতর জখম হন। ঘটনার পর এলাকায় তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়ায়। খানাকুলের চিংড়া পঞ্চায়েতের কেটেদল এলাকায় তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য কাশীনাথ মণ্ডল প্রচারের কাজে বেরিয়ে আক্রান্ত হন। সব কটি ঘটনাতেই বিজেপির নেতা কর্মীরা অভিযুক্ত। বিজেপির অবশ্য দাবি, প্রতিটি ঘটনাই ব্যক্তিগত। রাজনৈতিক রং লাগানো হচ্ছে।
পুরশুড়ার চিলাডাঙি এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূলের এক মহিলা কর্মী গণধর্ষণের শিকার হন। ঘটনা ঘিরে মহকুমার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়। তবে শুধু দলের নেতা-কর্মীরাই নন, রবিবার তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। তিনি খানাকুলে প্রচারের জন্য গিয়েছিলেন।
তৃণমূলের এক নেতা বলেন, ভোটের দিন এগিয়ে আসতেই দলের কর্মীদের উপর আক্রমণের ঘটনা বাড়ছে। তৃণমূল হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না বলেই আইন নিজের হাতে তুলে নেয়নি। আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়েছে। দলীয় কর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কোনও ধরনের প্ররোচনার ফাঁদে পা না দিতে বলা হয়েছে।
আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি রামেন্দু সিংহরায় বলেন, বিজেপির পায়ের তলার মাটি হারিয়ে গিয়েছে। ওরা বুঝতে পারছে আরামবাগে ওরা জিততে পারবে না। যে কারণেই হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে। তবে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলকে দমানো যাবে না। মানুষই ভোটে ওদের সব জবাব দিয়ে দেবে।
আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, তৃণমূলই আমাদের কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালাচ্ছে। আরামবাগের তিরোল পঞ্চায়েতের চণ্ডীবাটি এলাকায় পতাকা টাঙানোর অপরাধে কয়েকদিন আগে বিজেপি কর্মী শিশিরকুমার পাখিরাকে মারধর করা হয়। বিজেপি হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। হার বুঝতে পেরেই এসব মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।