ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
কান্দি মহকুমা প্রশাসন অবশ্য অবৈধভাবে বালি বিক্রির বিরুদ্ধে তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে। মহকুমা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, বাসিন্দারা এনিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ জানাননি। তবে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে চলেছি। প্রয়োজনে বালি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্প্রতি কান্দি মহকুমার বিভিন্ন বালিঘাট থেকে ব্যাপকভাবে বালি তোলার কাজ চলছে। সেই বালি বাসিন্দারা নির্মাণকাজে ব্যবহার করছেন।
আবার অনেকে ব্যবসার কাজেও এই বালি ব্যবহার করছেন। এই সময় বালি মজুত করে ভরা বর্ষায় তা লাভজনক দরে বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে অনেকের। কিন্তু বালি মজুত করার জন্য অনেকের নিজস্ব জমিও নেই। তাই রাজ্য সড়কের পাশে অবৈধভাবে বালি মজুত করা হয়েছে।
বহরমপুর-সুলতানপুর রাজ্য সড়কের কান্দি থেকে জীবন্তি গ্রাম পর্যন্ত অন্তত ২৫টি জায়গায় রাস্তার পাশে বালি মজুত করার দৃশ্য দেখা যাবে। পুরন্দরপুর গ্রামের পর থেকেই এমনভাবে বালি মজুত করা হয়েছে যে, তার কিছুটা রাস্তার উপরও চলে এসেছে।
ভরতপুর-১ ব্লকের সিজগ্রাম মোড় থেকে লোহাদহঘাট পর্যন্ত অন্তত ১০টি জায়গায় বালি মজুত করা হয়েছে। বড়ঞা থানার কুমরাই থেকে কুলি হয়ে ফরিদপুর পর্যন্ত কয়েক জায়গায় বালি মজুত করা হয়েছে। খড়গ্রাম ব্লকের খড়গ্রাম-বিষ্ণুপুর রাজ্য সড়কের পাশেও বালি মজুত করা হয়েছে। পারুলিয়া গ্রামের পরে এমনভাবে বালি মজুত করা হয়েছে যে, সেখান দিয়ে বাইক চালানো মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পারুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা আতাহার মিয়াঁ বলেন, সামান্য হাওয়া দিলেই চোখে বালি এসে পড়ছে। তাই বাধ্য হয়ে বাইক চালানোর সময় কালো চশমা পরতে হয়েছে। বীরভূমের মাড়গ্রামের বাসিন্দা আবদুল আজিম বলেন, সড়কের ধারে বালি মজুত করায় বাইকের চাকা স্লিপ করার ঘটনাও ঘটছে। প্রশাসন একেবারে নির্বিকার।
কান্দির গোকর্ণ গ্রামের বালি ব্যবসায়ী সামসুল আলম বলেন, এটা ঠিক যে অনেকে রাস্তার উপরই বালি মজুত করেছে। তবে রাস্তার পাশে আমার জমি রয়েছে। সেখানেই বালি মজুত করেছি। হাওয়ায় বালি উড়লে কারও কিছু করার থাকে না।