সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
কেতুগ্রাম-২ ব্লকের মৌগ্রাম অঞ্চলের কল্যাণপুর ফেরিঘাটটি পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে ইজারা দেওয়া হয়। ফেরিঘাটের অপরপারে চর সুজাপুর, রঘুপুর, নারায়ণপুর, দোয়েম গ্রাম রয়েছে। ওই সমস্ত গ্রাম পূর্ব বর্ধমান জেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। ওই গ্রামগুলি নদীয়া জেলার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। তাই কল্যাণপুর ফেরিঘাট দিয়ে সহজেই নদীয়া জেলায় যাওয়া যায়। মুর্শিদাবাদ, বীরভূমের মানুষও বিভিন্ন কাজে ওই ফেরিঘাট দিয়েই যাতায়াত করেন। আর সেই ফেরিঘাটে কোনও জেটি নেই। বর্ষাকালে জলকাদা ভেঙে ফেরিঘাটে যেতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এখন জেটি না হলে অন্তত কিছু একটা বিকল্প ব্যবস্থা করে দিক প্রশাসন। শাঁখাই-কাটোয়া ফেরিঘাটে ভাসমান জেটি তৈরি করা হচ্ছে। প্লাস্টিকের জেটিটি জল কমলে বা বাড়লেও ডুববে না। কল্যাণপুর ফেরিঘাটেও অনেকে ওইরকম জেটি চাইছেন। স্থানীয় বাসিন্দা দোলন হাজরা, প্রবীর মণ্ডল, কৃষ্ণগোপাল ঘোষ জানান, নৌকা ভাগীরথীর পাড়ে ভেড়ানো হয়। কিন্তু সেখানে জেটি না থাকায় খুবই অসুবিধা হয়। বিশেষ করে বর্ষাকালে পাড়ে কাদা থাকে। কল্যাণপুর ফেরিঘাট দিয়ে সারাদিন প্রচুর মানুষ যাতায়াত করেন। তাই পঞ্চায়েত সমিতি এবার ওই ফেরিঘাটে জেটি তৈরি নিয়ে চিন্তাভাবনা করুক-এমনটাই চাইছেন গ্রামবাসীরা।
চর সুজাপুরের কিছু বাসিন্দা জানালেন, প্রতিদিন ওই ফেরিঘাট পেরিয়ে নানা কাজে কেতুগ্রাম আসতে হয়। জেটি না থাকায় অনেকেই কাদায় পড়ে যান। সাইকেল নিয়ে নৌকা থেকে নামতেও অসুবিধা হয়। বর্ষায় জল বাড়লে নৌকা নোঙর করতেও সমস্যা দেখা দেয়। অথচ এই ফেরিঘাট দিয়ে মুর্শিদাবাদ, নদীয়া জেলার মানুষ পূর্ব বর্ধমান জেলার সঙ্গে সংযোগ রাখে। সেজন্য তাড়াতাড়ি ওই ফেরিঘাটে জেটি তৈরির দাবি উঠেছে।