অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত অরুণ সাউ মেচেদা পোস্ট অফিসে কর্মরত অবস্থায় সুপারভাইজারের পাসওয়ার্ড হ্যাক করে কারচুপি করেছেন। তিনি আমনতকারীদের থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। পাসওয়ার্ড হ্যাক করে সেটা খাতায় কলমে জমা দেওয়া হয়েছে বলে দেখিয়েছেন। এভাবেই প্রায় দেড় লক্ষ টাকা তছরুপ হয়েছে। বিষয়টি নজরে আসার পর ডাক বিভাগের তমলুক সাব ডিভিশনের ইন্সপেক্টর শুকদেব মণ্ডল তদন্তে নামেন। তাতে অনিয়ম ধরা পড়ে। এরপরই শুকদেববাবু গত মার্চ মাসে কোলাঘাট থানায় এফআইআর করেন। পাশাপাশি অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করেছিল পোস্টাল বিভাগ। সম্প্রতি সেই সাসপেনশন প্রত্যাহার করে তাঁকে তমলুক হেড পোস্ট অফিসে নিয়োগ করা হয়। এর প্রতিবাদে সরব হন অন্যান্য ডাককর্মীরা। তাঁরা পোস্টাল সুপারকে চিঠি দিয়ে অবিলম্বে অভিযুক্ত কর্মীকে সরানোর আবেদন জানান। গত ১৬জুন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। ১৮তারিখ অভিযুক্তকে আবারও সাসপেন্ড করা হয়।
তমলুকের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস বলেন, অরুণ সাউয়ের বিরুদ্ধে পরোয়ানা ছিল। সেজন্য কোলাঘাট থানার পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই ঘটনার পোস্টাল বিভাগের তদন্তকারী অফিসার তথা তমলুকের সাব ডিভিশনাল ইন্সপেক্টর শুকদেব মণ্ডল বলেন, আমানতকারীদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ছিল। পোস্টাল সুপারের নির্দেশে আমি তদন্ত করি। সেইমতো সাসপেন্ড এবং এফআইআর হয়েছিল। সম্প্রতি সাসপেনশন প্রত্যাহার করে তমলুকে জয়েন করেছিলেন। ৪৮ঘণ্টার বেশি জেল হেফাজতে থাকায় নিয়ম অনুযায়ী আবারও সাসপেন্ড হয়েছেন।