অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
মহকুমা শাসক অনুপ কুমার দত্ত বলেন, বিষ্ণুপুর পুরসভার পক্ষ থেকে দুঃস্থ সঙ্গীতশিল্পীদের মাসিক সাম্মানিক ভাতা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এদিন প্রয়াত এক শঙ্খশিল্পীর পরিবারের পাশে পুরকর্তৃপক্ষ দাঁড়িয়েছে। গোপালবাবুর তৈরি যেসব শিল্পকর্ম রয়েছে, তা সংরক্ষণের বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
পুরসভার প্রশাসক দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রয়াত গোপালবাবুর স্ত্রী শয্যাশায়ী। তাঁকে নিয়ে তাঁর মেয়ে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। সে কথা জানতে পেরে অন্যান্য গুণী শিল্পীদের মতো তাঁদেরও মাসিক পাঁচহাজার টাকা করে সাম্মানিক ভাতা চালু করা হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে তা দেওয়া হবে।
গোপালবাবুর বিবাহিতা মেয়ে শ্যামা রায় বলেন, ১৯৮৮ সালে বাবা নারকেল মালার উপর পৌরাণিক কাহিনি কৃষ্ণলীলা খোদাই করে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছিলেন। কয়েকবছর আগে বাবা মারা যান। মা গীতা নন্দীও শঙ্খশিল্পী। তিনি রাজ্য সরকারের একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। মা বর্তমানে শয্যাশায়ী। এক অসহনীয় অবস্থার মধ্যে আমরা দিন কাটাচ্ছি। পুরকর্তৃপক্ষ মাসিক ভাতা দেওয়া শুরু করেছে। ওই টাকা পেলে মায়ের চিকিৎসা ভালো করে করতে পারব। বাবার যে সব শিল্পকর্ম এখনও বাড়িতে রয়েছে, তা যাতে সংরক্ষণ করা হয়, তার জন্য এদিন প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে আর্জি জানিয়েছি।