অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুর থেকে দু’টি জলাধার মিলিয়ে মোট ৩৮ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দামোদরে জলের চাপ সামলাতে দুর্গাপুর ব্যারেজও জল ছেড়েছে। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত ৭০হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। তবে বেলা বাড়তে তা ধাপে ধাপে কমিয়ে ৫০ হাজার কিউসেক করা হয়। কিন্তু, ডিভিসি আরও বেশি জল ছাড়া শুরু করায় দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে বলে সেচদপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মাইথন ক্যাচমেন্ট এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে ২০৩ মিলিমিটার। ঝাড়খণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে প্রবল বর্ষণে মাইথন জলাধারে প্রচুর জল জমা হচ্ছে। ফলে সপ্তাহ খানেক আগেও যে মাইথনের রুখা দশাছিল, তা এখন জলে টইটুম্বুর। যদিও দুপুর পর্যন্ত তা বিপদসীমার ১৫ ফুট নীচে রয়েছে। তবে এক দিনে আট ফুট জলস্তর বৃদ্ধি হওয়ায় আশঙ্কার মেঘ ঘনীভূত হচ্ছে। এদিনও প্রায় সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে।
ডিভিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আমরা সকালের দিকে মাইথন থেকে সাড়ে আট হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত থেকে ১৪হাজার কিউসেক জল ছাড়ছিলাম। কিন্তু, যেভাবে বিপুল পরিমাণে জল ঢুকছে তাতে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো ছাড়া উপায় ছিল না। রাজ্য সরকারের লিখিত অনুমতি নিয়েই শনিবার দুপুরে মাইথন থেকে ২৪হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত থেকে ১৪হাজার কিউসেক জল ছাড়া শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুরে ডিভিসির ছাড়া অতিরিক্ত জল শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ এসে পৌঁছবে দুর্গাপুর ব্যারেজে। সেই মতো এই ব্যারেজ থেকেও বেশি জল ছাড়া হবে। ফলে নিম্ন দামোদর অববাহিকার আরও বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি জেরে সোদপুর এরিয়ার নরসমুদা কোলিয়ারিতে জল ঢুকে যাওয়ায় এদিনও খনন কাজ বন্ধ ছিল।
শুক্রবারের তুলনায় আসানসোলের পরিস্থিতির অবশ্য কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তেমন ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় জল নামতে শুরু করেছে। ফলে ত্রাণ শিবিরে থাকা মানুষজন বাড়ি ফিরছেন। তবে বেশকিছু কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন, শতাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে।