বিদ্যার্থীরা কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষার ভালো ফল করবে। বিবাহার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের কারও ... বিশদ
লকডাউন পর্ব শুরু হতেই কালনা মহকুমার অধিকাংশ ফেরিঘাটে পরিষেবা অনিয়মিত হয়ে পড়ে। কোথাও আবার সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যায়। ভাগীরথী নদীর উপর কালনা-শান্তিপুর ফেরি পরিষেবা লকডাউন চালু থাকলেও শুধুমাত্র নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পারাপারের জন্য ব্যবহারের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু সাধারণ যাত্রী পারাপার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল। এর আগে ওপারে দোকান খুলতে কালনার এক ক্ষুদ্র স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে নদী সাঁতরে যাতায়াত করতেও দেখা গিয়েছে। সোমবার থেকে স্বাভাবিক নিয়মে মুখে মাস্ক পরে সমাজিক দূরত্ব মেনে লঞ্চে করে যাত্রী ও লোহার ভেসেলে যানবাহন পারাপার শুরু হয়। ফেরিঘাটে এদিন সিভিক ভলান্টিয়ার ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীদের ফেরিঘাটে নজরদারির জন্য রাখা হয়। এদিন মহকুমার অন্যান্য ফেরিঘাটেও যাত্রী পারাপার শুরু হয়।
কালনা-শান্তিপুর ফেরিঘাটের উপর স্থানীয় টোটো ও অটো চালকরা অনেকটাই নির্ভরশীল। তাই এদিন থেকে যাত্রী পারাপার শুরু হওয়ায় তাঁদেরও স্বস্তি ফিরেছে। কালনা ফেরিঘাটের ম্যানেজার জয়গোপাল ভট্টাচার্য বলেন, এদিন লোকসানের মধ্যে দিয়েই যাত্রী পারাপার শুরু হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত ফেরি পরিষেবা চলবে। প্রত্যেক যাত্রীকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাইকে আমরা তা ঘোষণা করছি। লকডাউন পর্বের আগে প্রতিদিন ১২-১৫ হাজার যাত্রী পারাপার হতো। এদিন যাত্রী সংখ্যা ছিল খুবই কম। তবে, আমরা সরকারি নির্দেশিকা মেনে সমাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কম সংখ্যক যাত্রী নিয়ে পারাপার স্বাভাবিকভাবেই চালিয়ে যাব। তবে লোকসান করে কতদিন এভাবে চলতে হবে বুঝতে পারছি না। আশা করি সরকার বিষয়টি দেখবেন।
কালনার বাসিন্দা তথা ফেরিঘাটের নিত্যযাত্রী হারু দাস বলেন, আমার শান্তিপুরে কাপড়ের দোকান রয়েছে। লকডাউনে ফেরি পরিষেবা বন্ধ থাকায় দোকান খুলতে পারছিলাম না।