উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বিজেপির মেজিয়া মণ্ডল সভাপতি মিঠুন পাণ্ডে বলেন, রবিবার সকালে মেজিয়ায় বিজয় মিছিল হয়। ওইদিন তারাপুর থেকে প্রচুর কর্মী ও সাধারণ সমর্থক শামিল হন। পরে সন্ধ্যায় গ্রামে ফিরে স্থানীয় কর্মীরা খিচুড়ি রান্না করেছিলেন। তাতে কর্মী ছাড়াও গ্রামের সাধারণ সমর্থকরাও খেতে আসেন। মহিলারাও সেখানে ছিলেন। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ বিজেপিতে চলে যাচ্ছে দেখে তৃণমূল নেতারা হতাশায় ভোগেন। রাত ৯টা নাগাদ দলবল নিয়ে অতর্কিতে ওরা হামলা চালায়। রীতিমতো লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করা হয়। তাতে পুরুষ ও মহিলা উভয়েই আক্রান্ত হন। ঘটনায় আমাদের দলীয় কয়েকজন কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। কর্মীরা মার খেলেও পুলিস বেছে বেছে আমাদের দলের কর্মীদেরই গ্রেপ্তার করেছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের মেজিয়া ব্লক সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, লোকসভা ভোটের ফলাফলে অতি উৎসাহী কিছু বিজেপি কর্মী নিজেদের ঝামেলায় জড়ায়। পরে তাদের একাংশ মদ্যপ অবস্থায় স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের মারধর শুরু করে। তার প্রতিবাদ করলে গ্রামের তৃণমূল সমর্থকদের উপরে হামলা চালানো হয়। তাতে আমাদের কয়েকজন জখম হয়েছেন। পুলিসের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের লোকসভা ভোটে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায় পরাজিত হন। বিজেপির সুভাষ সরকার জয়ী হন। মেজিয়া বিধানসভা কেন্দ্র এলাকাতেও বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। তাই রবিবার সকালে মেজিয়া বাজারে বিজেপির তরফে বিজয় মিছিলের আয়োজন করা হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় স্থানীয় কর্মীরা গ্রামের কালীমন্দির প্রাঙ্গণে খিচুড়ি রান্না করেন। সেখানে বিজয় মিছিলে যোগদানকারীদের আয়োজকদের তরফে নিমন্ত্রণ করা হয়। গ্রামের সাধারণ মানুষও তাতে অংশ নেন। অভিযোগ, ওই সময় রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে কটূক্তি করা হয়। বিজেপি কর্মীরা জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুলে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের ক্রমাগত উত্ত্যক্ত করছিলেন। তা নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের একাংশের সঙ্গে বচসা বাধে। পরে দু’পক্ষই একে অপরকে লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করে। একে অপরের দিকে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এমনকী, আশেপাশের বাড়ির ছাদ থেকে রাস্তায় থাকা লোকজনের উপর ঢিল ছোঁড়া হয়। তাতে দু’পক্ষের মোট ২০জন জখম হন।
অশান্তির খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে এসে দু’পক্ষকেই হটিয়ে দেয়। পরে জখমদের প্রত্যেককে পুলিস কর্মীরা মেজিয়া ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই তিনজনকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। রাতেই গ্রামে র্যা ফ নামানো হয়। ব্যাপক ধরপাকড় চলে। মোট ১৭জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।