পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
ছুটির দিনে মহকুমা শাসকের এই তৎপরতায় খুশি কালজানি নদীর চর এলাকার মহিলারা। এসডিও’র অভিযানের সময় মহিলাদের বলতে শোনা যায়— স্যার, আপনি রোজ আসবেন। মদ ও জুয়ার জন্য আমাদের সংসারে রোজ অশান্তি লেগে থাকে।
আলিপুরদুয়ার পুরসভার ১১, ১৫ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কালজানির চর এলাকাগুলি মদ্যপ ও জুয়ারিদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছে। রাতে তো বটেই, দিনের বেলাতেও প্রমোদনগর কলোনি, পলাশবাড়ি, আশুতোষ ক্লাব ও স্বাধীন ভারত ক্লাব সংলগ্ন নদীর চরে রমরমিয়ে চলে জুয়া, বসে মদের আসর। নদী সংলগ্ন বাসিন্দারা অধিকাংশই গরিব মানুষ। এলাকায় নিত্যদিন এই অসামাজিক কাজের প্রভাব পড়ছে এলাকার অল্পবয়সিদের মধ্যেও। বিভিন্ন সূত্রে অভিযোগ পেয়ে এদিন মহকুমা শাসক নিজের দেহরক্ষীকে নিয়ে আচমকা হানা দেন কালজানির চরে। লাঠি হাতে নিয়ে এসডিও তাড়া করেন মদ্যপ ও জুয়ারিদের। যা দেখতে ভিড় জমে যায় এলাকায়। পরে মহকুমা শাসক বলেন, খবর ছিল কালজানি নদীর চরে দিনের বেলায় মদ ও জুয়ার আসর বসছে। তাই খবর পেয়ে অভিযানে আসি। কোনওভাবে এসব বরদাস্ত করা হবে না। চরের বাসিন্দাদের সবাইকে বলা হয়েছে, এলাকায় অসামাজিক কাজকর্ম দেখলেই আমাকে যেন খবর দেওয়া হয়। পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার পার্থ সরকার বলেন, কালজানির চর এলাকায় মদ-জুয়ার মতো অসামাজিক কাজ বন্ধ করতে পুলিসকে জানিয়েছি। মহকুমা শাসককেও জানিয়েছিলাম। যদিও আলিপুরদুয়ার থানার আইসি অনির্বাণ ভট্টাচার্য বলেন, নিয়মিত কালজানি চরে মদ-জুয়ার বিরুদ্ধে পুলিসের অভিযান চলে। আগামী দিনেও এই অভিযান চালানো হবে।