পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
সেই সুজাপুরই ২০২১ সালে ভিন্নপথে হেঁটেছিল। খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছিল বরকত গনিখানের কংগ্রেসকে। শুধু ফিরিয়ে দেওয়াই নয়, ভোটের ফলে বোঝা গিয়েছিল নিজেদের এক সময়ের দুর্গ সুজাপুরে রীতিমত দুরমুশ হয়েছে কংগ্রেস। সুজাপুরে প্রায় ছয় দশক পরে ফুটেছিল ঘাসফুল।
ঠিক তিন বছর আগের সেই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আব্দুল গনি জিতেছিলেন প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার ভোটে। সেই জয় যে কোনও ফ্লুক ছিল না, তা প্রমাণ করতে এবারের নির্বাচনে মালদহ দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের সুজাপুরে মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। শুধু তাই নয়, এই কেন্দ্রে সফল নির্বাচনী সভা করে গিয়েছেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
তৃণমূল প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রায়হান বলেন, সুজাপুরের দায়িত্ব নিয়েছেন স্বয়ং মমতাদি। এখানে আমার মামার বাড়ি। আমি নিশ্চিত ২০২১ সালের ফলের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচনেও।
ভোটার সংখ্যায় মালদহ দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিধানসভা কেন্দ্র সুজাপুর। এখানে ভোটার সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ৬৭ হাজার। মূলত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটারই সিংহভাগ। কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরী গত বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল পরাজয়ের গ্লানি কাটিয়ে পুরোদস্তুর নেমে পড়েছেন ময়দানে।
তিনি বলেন, ২০২১ সালে সুজাপুরের সংখ্যালঘু মানুষ এনআরসি’র আতঙ্কে তৃণমূলের হাত ধরেছিল। সেই ভয় কেটে গিয়েছে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে সুজাপুর আমাদের পাশেই রয়েছে।
মালদহ দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি পার্থসারথি ঘোষ বলেন, সুজাপুরের বিপুল সংখ্যক সংখ্যালঘু মানুষ আস্তে আস্তে আমাদের পাশে আসছেন। তাঁরা মোদি গ্যারান্টিতে আস্থা রাখছেন। আমরা সুজাপুরে ভালো ফল করব।
তবে এই মুহূর্তে বিধানসভা ফলের পুনরাবৃত্তি করতে সুজাপুরে মরিয়াতৃণমূল। আর তা রুখতে ঝাঁপিয়েছে কংগ্রেস। তারপরেও সুজাপুরে ফিরে ফিরে আসছে দুই গনির কথা। বরকত গনি এবং আব্দুল গনির দল এখন চেষ্টা চালাচ্ছে সুজাপুরের মানুষের মনের ভাষা পড়তে।