পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
পুরসভা দখলে থাকলেও গত বিধানসভা ভোটে কোচবিহার শহরে ১৫ হাজার ভোট লিড পায় বিজেপি। তবে সেই লিড এবার তাদের থাকবে না বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। তাদের দাবি, শহরে অনেক উন্নয়নের কাজ হয়েছে। রাজার শহরকে হেরিটেজ ঘোষণা করায় ঢেলে সাজার কাজ শুরু হয়েছে। শহরে রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে পানীয় জল, নিকাশিনালা সহ অন্যান্য পরিষেবার অনেক উন্নতি হয়েছে। সেইসঙ্গে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে শহরবাসী। অন্যদিকে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রান্নার গ্যাস থেকে শুরু করে পেট্রল, ডিজেলের দাম বাড়িয়েছে। ফলে শহরের মানুষের আর বিজেপির উপর আস্থা নেই। তাই ভুল করে যাওয়া ভোট ঘাসফুল শিবিরে ফিরবে। এছাড়াও লোকসভা ভোটের আগে কোচবিহার পুরসভার তিনজন নির্দল কাউন্সিলার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বিধানসভা ভোটে ওই ওয়ার্ডগুলি থেকে বিজেপি ভালো সংখ্যায় ভোট পেয়েছিল। অন্যান্য ওয়ার্ডের পাশাপশি ওই তিনটি ওয়ার্ডেও লিড মিলবে বলে আশা তৃণমূল শিবিরের।
কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান বিজেপির রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, শহরে অনেক কাজ হয়েছে। রাজার শহর কোচবিহারকে রাজ্য সরকার হেরিটেজ ঘোষণা করে সাজিয়ে তুলছে। কোচবিহারের জন্য বিজেপি কী কাজ করেছে? উন্নয়নের নিরিখে এবার ভাঁওতাবাজ বিজেপিকে নয়, তৃণমূলকেই শহরের মানুষ সমর্থন দিয়ে দিয়েছেন। এবার শহর থেকে আমরাই লিড পাব, একথা হলফ করে বলতে পারি। কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, স্বপ্ন সবাই দেখতে পারে। তৃণমূলও স্বপ্ন দেখুক, ক্ষতি নেই। তবে মানুষ দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলের পাশে নেই, এটা ভোটের ফল বেরলেই বুঝতে পারবে। এবারের ভোটে বিধানসভা নির্বাচনের থেকেও বেশি ভোট লিড হবে। শহরে ২০ হাজারের বেশি ভোট লিড আসবে আমাদের।