কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
স্থায়ী ব্যবসায়ীদের অনুরোধে সেখানেই দফায় দফায় চলে চা চক্রের আসর। আড্ডায় তখন জমজমাট রেগুলেটড মার্কেটের সকাল। এরই মাঝে রাজনৈতিক আলোচনা। দলের প্রচারপর্ব সেরে নেন জোটের কংগ্রেস প্রার্থী। কয়েক দফায় চা পান করে ফুরফুরে মেজাজে মুণীশ। প্রার্থীর সঙ্গে হাজির ছিলেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ সমন পাঠক, লক্ষণ ঘোষ, হরেন্দ্রর রাইয়ের মতো নেতারাও। বাজারের হাল দেখে প্রার্থী বলেন, এখানে ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের খতম করে সিন্ডিকেট রাজ গড়ে তোলা হয়েছে। আম্বানি- আদানিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে সেই সিন্ডিকেটের রাশ।
বাজারে প্রচার শেষে মুণীশ রওনা হন পতন ফুলবাড়ি চা বাগানে। বাগানের বিভিন্ন অলিগলিতে বিজেপি ও তৃণমূলের পাশাপাশি উড়তে দেখা গেল কংগ্রেস ও বামেদের পতাকাও। প্রার্থীকে স্বাগত জানাতে হাজির দু’দলের কর্মী সমর্থকরা। শ্যামল ওরাওঁ, দীনেশ লাকড়ার মতো শ্রমিকরা চা বাগানের পরিস্থিতি মুণীশকে জানান। দীর্ঘক্ষণ চা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রার্থী। আশ্বস্ত করেন বাগানের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার।
শহরঘেঁষা এলাকার পর তাঁর গন্তব্য নেপাল সীমান্ত। ছ’টি সাদা বিলাসবহুল গাড়ি সোজা পানিট্যাঙ্কির পথ ধরল। বাগডোগরার যানজট পেরিয়ে সেই কনভয় সাড়ে ১২টায় পৌঁছল পানিট্যাঙ্কিতে। আগে থেকেই সেখানে হাজির দু’দলের কর্মীরা। তিনটি টোটোতে মাইক লাগিয়ে চলল প্রচার। সিপিএম পার্টি অফিস থেকে দু’দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে শুরু হল পানিট্যাঙ্কি বাজারে প্রচার। কেউ প্রার্থীকে দেখে হাত জোড় করলেন, কেউ বাজারে ব্যাগ রেখে মুণীশকে জড়িয়ে ধরলেন। একসময়ের লালদুর্গ হিসেবে পরিচিত বাজারে বামদের পতাকাই বেশি নজরে এল। নেপাল সীমান্তে প্রচার সেরে প্রার্থী ও অন্যান্য সকলেই রওনা দেন বাতাসি ও খড়িবাড়ির উদ্দেশে।