কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
পাল্টা শহরের ভোটকে টার্গেট করেছে বিজেপি। সাংগঠনিকভাবে ততটা শক্তিশালী না হলেও শহুরে ভোটই পদ্মশিবিরের ভরসা। সেই মতো বালুরঘাট, তপন এবং গঙ্গারামপুর বিধানসভা থেকে ব্যাপক লিড নিতে চায় বিজেপি।
পাঁচবছর বালুরঘাট লোকসভা আসন বিজেপির দখলে। কিন্তু, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ে বিজেপি। ৬৪টির মধ্যে ৫৫টির বেশি পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল। তাদের দাবি, ভোটের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তৃণমূল প্রার্থীকে বাড়তি মাইলেজ দেবে। ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ এবং আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি গ্রামে গ্রামে প্রচার করছেন বিপ্লব মিত্র। বিধানসভা নির্বাচনে চারটি কেন্দ্রে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। সেখানেও লিডের আশায় বুক বেঁধেছে তারা।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, জেলাজুড়ে তৃণমূলের সংগঠন মজবুত। বালুরঘাট, তপন ও গঙ্গারামপুরে বিধানসভায় আমরা পরাজিত হলেও এই কয়েকবছরে পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল আমাদের উজ্জীবিত করেছে। তাই সব বিধানসভা কেন্দ্র থেকে আমরা লিড নেব। বিপ্লব মিত্রের জয়ও সময়ের অপেক্ষা।
অন্যদিকে, বিজেপির দাবি, বালুরঘাট বিধানসভা বিজেপির দখলে। সেই শহরেই প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের বাড়ি। তাই সেখান থেকেই তাঁকে লিড দেবেন শহরবাসী। গত লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট থেকেই ৩৯ হাজার লিড পেয়েছিলেন সুকান্ত। তাই এবার সেখান থেকে দ্বিগুণ লিড পাওয়ার আশায় পদ্ম শিবির। এর পাশাপাশি তপন ও গঙ্গারামপুর থেকেও লিড নেওয়ার টার্গেট নিয়েছে তারা। বিজেপি নেতারা বলছেন, সুকান্ত মজুমদার রেল থেকে শুরু করে জেলাজুড়ে নানা উন্নয়ন করেছেন। গতবার বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে ৩৩ হাজার ভোটে জয় এসেছিল। এবার তার চেয়ে বেশি ভোটে সুকান্ত জয়ী হবেন।
এপ্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরীর মন্তব্য, বালুরঘাট, তপন ও গঙ্গারামপুর বিধানসভা বিজেপির দখলেই ছিল। তাই এই তিন কেন্দ্র থেকে ব্যাপক লিড আসবে। অন্য কেন্দ্রগুলি থেকেও এবার লিড নেব আমরা। সব বিধানসভা থেকেই ব্যাপক লিড আসবে। সুকান্ত মজুমদারের জয় সময়ের অপেক্ষা।