কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
স্থানীয়রা বলেন, সুপার মার্কেটে নিকাশি নালা না থাকায় জল বেরচ্ছে না। নিজতরফ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭২ নিজতরফ, ৭৬ নিজতরফ, ৪০ নিজতরফ এলাকার জল কিছুটা নেমে যাওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন বাসিন্দারা। অপরদিকে, কুচলিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৫ পয়েস্তি গ্রামে তিস্তার মাটির বাঁধ অনেকটাই ধসে গিয়েছে। যদিও জরুরিকালীন ভিত্তিতে ওই জায়গায় মাটি ফেলে তা মেরামত করেছে প্রশাসন।
এদিন বাঁধ মেরামতের কাজ খতিয়ে দেখেন কোচবিহার জেলা পরিষদ সদস্য ফুলতি রায়। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ওই এলাকায় তিস্তার বাঁধ দিতে পারেনি সেচদপ্তর। ফলে তিস্তার জল বৃদ্ধি হলেই গ্রামে হু হু করে জল ঢুকে যায়। এলাকার বাসিন্দা তথা জেলা পরিষদের সদস্য ফুলতি রায় বলেন, বাজার এলাকার প্রায় ৪০০ দোকানে প্রতিবছর বন্যার সময়ে জল ঢুকে যায়। এ নিয়ে নিয়ন্ত্রিত বাজারের পরিকাঠামো উন্নতির দাবি আমি অনেকবার জেলা পরিষদের মিটিংয়ে তুলেছিলাম। কিন্তু, আজ পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হল না। তাই তিস্তা নদীর জল বাড়লেই সমস্যায় পড়েন ব্যবসায়ীরা। দু’দিনের বৃষ্টিতে ব্যবসায়ীদের হাজার হাজার টাকার জিনিসপত্র ক্ষতি হয়ে গেল। আমি এদিন পরিষদের সভাধিপতিকে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের দুর্ভোগের বিষয়টি টেলিফোনে জানিয়েছি।
কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মন বলেন, কুচলিবাড়ি সীমান্ত এলাকায় প্রচুর সমস্যা রয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মিটিংয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। ধাপড়াহাট বাজারের পরিকাঠামো উন্নয়নের ব্যাপারে কিছু পরিকল্পনা পরিষদের রয়েছে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ এলে ধাপড়াহাট বাজারের উন্নয়ন করা হবে। মেখলিগঞ্জের বিধায়ক তথা রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারি বলেন, দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে কুচলিবাড়ি সহ ফুলকাডাবরি, ভোটবাড়ি ও নিজতরফ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। আমি নিজে ওই এলাকাগুলিতে গিয়ে বাসিন্দাদের সমস্যা জেনে নেওয়া সহ পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করেছি। কুচলিবাড়ি বাজার সহ ২৫ পয়েস্তি গ্রামের সমস্যা খতিয়ে দেখেছি। বাজারটি যেহেতু নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির, তাই আমি এ ব্যাপারে নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলব। জেলা পরিষদ যাতে সীমান্তের গ্রামের উন্নয়নমূলক কাজে জোর দেয়, সেটা দেখতে বলব। নিজস্ব চিত্র