সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রু মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
তুফানগঞ্জ পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানোর জন্য কিছুদিন আগেই রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর সমীক্ষা করে বরাদ্দ দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা তুফানগঞ্জ শহরে এসে চুল্লি বসানোর জায়গা পরিদর্শন করে গিয়েছেন। শ্মশানের জায়গাটিও তাঁরা দেখেছেন।
শহরবাসী বলেন, কাঠের চুল্লিতে দেহ দাহ করতে তিন-সাড়ে তিনঘণ্টা সময় লেগে যায়। এক-দু’জনকে সর্বক্ষণ কাঠের চুল্লির ধারে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ধোঁয়ায় তাঁদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। বৈদ্যুতিক চুল্লি বসলে দ্রুত দেহ সৎকার হয়ে যাবে।
তৃণমূল কংগ্রেসের তুফানগঞ্জ টাউন ব্লক সহ সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ধর বলেন, বৈদ্যুতিক চুল্লি বসলে এলাকায় দূষণ কম ছড়াবে। কম সময়ে মৃতদেহ দাহ করা যাবে। আমাদের অনেকদিন ধরেই এই দাবি ছিল। প্রশাসক বোর্ড উদ্যোগী হয়ে কাজটি শুরু করায় তাদের ধন্যবাদ।
বিজেপির তুফানগঞ্জ শহর মণ্ডল সভাপতি রিপন পাল বলেন, পুরসভা খুবই ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। প্রায় প্রতিটি শহরেই বৈদ্যুতিক চুল্লি রয়েছে। এতদিন এই পুরসভা বঞ্চিত ছিল। এবার তা হচ্ছে। তবে এই উদ্যোগ আগেই নেওয়া দরকার ছিল।
তুফানগঞ্জ পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা সেন ইশোর বলেন, রায়ডাক নদীর ধরে পুরসভার মহাশ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানোর জন্য পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরকে ই-মেইল করে আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। আশা করছি, চলতি মাসেই কাজের জন্য টেন্ডার ডাকা হবে। কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ শহরে তিনটি শ্মশান রয়েছে। গোডাউন মোড়ে রয়েছে একটি শ্মশান। দ্বিতীয় শ্মশানটি ১ নম্বর ওয়ার্ডের মরা রায়ডাক নদীর ধারে নিউটাউনে। তৃতীয় শ্মশানটি ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চিলা রায় গড় এলাকার রায়ডাক নদীর ধরে। পুরসভা এলাকার তিনটি শ্মশানের কোনওটিতেই বৈদ্যুতিক চুল্লি নেই। কাঠ দিয়ে মৃতদেহ দাহ করা হয়। দাহ করার জায়গায় শেড থাকলেও বর্ষাকালে কিংবা বৃষ্টি হলে সমস্যায় পড়তে হয় শবযাত্রীদের। ভিজে কাঠে দাহ করতে সমস্যা হয়।