সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রু মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
অতিরিক্ত জেলাশাসক সুরজিৎ দত্তশর্মা (স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি বিভাগ) বলেন, মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে সহায়তা করতেই ওই অনুদান প্রদান করেছে রাজ্য সরকার। দু’টি আর্থিক বছরে জেলার ১৬ হাজার ৬৬১টি গোষ্ঠী অনুদান হিসেবে পেয়েছে ৮ কোটি ৩৩ লক্ষেরও বেশি টাকা।
কোভিডকালে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এ নিয়ে উচ্ছ্বসিত। তাঁদের একাংশের বক্তব্য, কোভিডের থাবায় জীবন-জীবিকা কার্যত বিপন্ন হয়ে গিয়েছে। গতবছর থেকেই কোনওরকমে চলতে হচ্ছে। এই অবস্থায় জাগো প্রকল্পের অনুদানে ব্যাপক উপকার হয়েছে।
এদিকে জাগো প্রকল্পে নথিভুক্ত হওয়ার পরও জেলার বহু মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী ওই অনুদান পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, ২০১৯-’২০ আর্থিক বছরে ১২ হাজার ১১৯টি এবং ২০২০-’২১ আর্থিক বছরে ১২ হাজার ৭৩৩টি গোষ্ঠী ওই প্রকল্পে নথিভুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ দু’বছরে জাগো প্রকল্পে নথিভুক্ত গোষ্ঠীর সংখ্যা ২৪ হাজার ৮৫২টি। যারমধ্যে ৮১৯১টি গোষ্ঠী এখনও অনুদান পায়নি। অতিরিক্ত জেলাশাসক (স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি বিভাগ) বলেন, জাগো প্রকল্পের অনুদান বিলির আগে গোষ্ঠীগুলির বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হয়। নিয়ম অনুসারে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নথিভুক্ত সমস্ত গোষ্ঠীই প্রকল্পের অনুদান পাবে বলেই আশা করছি। অন্যদিকে, জেলায় সবলা মেলায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি ঘর সাজানোর উপকরণ, পোশাক, জ্যাম, জেলি, আচার প্রভৃতির বিক্রি বেড়েছে। প্রশাসনের আধিকারিকরা বলেন, গোষ্ঠীর তৈরি দ্রব্য-সামগ্রীর চাহিদা রয়েছে। তাই মেলায় ওসব সামগ্রীর বিক্রিও বেড়েছে।