পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
গোসাঁইরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মদনচন্দ্র বর্মন বলেন, রাস্তাটি বিপজ্জনক হয়ে আছে। আমরা পূর্তদপ্তরকে একাধিকবার সংস্কার করার আবেদন করেছি। পূর্তদপ্তর জানিয়েছে, শীঘ্রই তারা সংস্কারের কাজ শুরু করবে। কিন্তু কবে হবে তা জানি না।
পূর্তদপ্তরের কোচবিহারের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু করতে সমস্যা হয়েছিল। ১১ কিমি রাস্তা সংস্কার করার পর প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। বাকি অংশের সংস্কারের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।
মাথাভাঙা থেকে সিতাই পর্যন্ত ৪০ কিমি রাস্তা সম্প্রসারণ করার কথা আগে জানিয়েছিল পূর্তদপ্তর। ইতিমধ্যে শীতলকুচি থেকে সিতাই পর্যন্ত ২০ কিমি রাস্তা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে মাথাভাঙা থেকে শীতলকুচি পর্যন্ত ২০ কিমি রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ এখনও হয়নি। রাস্তাটি বর্ষার আগেই বেহাল হয়ে পড়ায় বাসিন্দারা বারবার সংস্কার করার দাবি জানান। কিন্তু সেই কাজও শুরু করতে পারেনি পূর্তদপ্তর।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষার শুরুতে রাস্তাটির যা পরিস্থিতি ছিল সেই অনুযায়ী সংস্কারের জন্য ২১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু কাজ শুরু করতে দেরি হওয়ায় রাস্তা আরও বেহাল হয়ে পড়ে। কয়েক মাস আগে রাস্তাটি সংস্কার করার কাজ শুরু করলে ১১ কিমি সংস্কার করার পরই বরাদ্দকৃত টাকা শেষ হয়ে যায়। প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকায় বাকি রাস্তা সংস্কারের কাজ আটকে যায়। শীতলকুচি থেকে মাথাভাঙা পর্যন্ত এই রাস্তাটি ছ’টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উপর দিয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ রাস্তাটি ব্যবহার করেন। বর্তমানে শিবপুর চৌপথী থেকে শীতলকুচি পর্যন্ত ন’কিমি রাস্তায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। শুখা মরশুমে ধুলোয় নাজেহাল হতে হচ্ছে পথচারীদের। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।