পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
জেলার এমআর ডিলার সংগঠনের অভিযোগ, পাঁচ মাস ধরে ডিলাররা কেন্দ্রীয় খাদ্যদ্রব্য বন্টনের কমিশন না পাওয়ায় দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। কর্মীদের বেতন দিতে সমস্যা হচ্ছে। আগামী দিনে জেলাজুড়ে গণবন্টন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। জেলায় ৩০৫ জন ডিলার রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই এখনও অবধি গত পাঁচ মাসের সেই কমিশন পাননি। সেই বকেয়া নিয়ে রেশন ডিলার সংগঠন ও জেলা নিয়ামকের দপ্তরের মধ্যে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন।
জেলা এমআর ডিলার সংগঠনের সভাপতি কমলেশ ফৌজদার বলেন, রাজ্য সরকারের স্পেশাল রেশন সাধারণ মানুষের মধ্যে বণ্টন করে কমিশন মিলেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের স্পেশাল রেশন বণ্টন করা সত্ত্বেও আমরা পাঁচ মাসের কমিশন পাচ্ছি না। এনিয়ে সংগঠনগতভাবে একাধিকবার আমরা খাদ্য নিয়ামকের দপ্তরে জানিয়েছি। জেলার প্রায় ৩০০টি রেশন দোকানের কমিশন হিসেবে আটকে প্রায় এক কোটি টাকা। কমিশন পাওয়ার জন্য কোন ফর্মে কিভাবে আবেদন করতে হবে, সেসব কিছুই আমাদের জেলা খাদ্য নিয়ামকের দপ্তর থেকে জানানো হয়নি।
যদিও ডিলারদের অভিযোগ মানতে চাননি জেলা খাদ্য নিয়ামক জয়ন্ত রায়। প্রথমেই তিনি জেলাজুড়ে এই সমস্যা চলার দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, বালুরঘাট মহকুমার একাধিক ডিলার ইতিমধ্যেই কমিশন পেয়ে গিয়েছেন। তবে গঙ্গারামপুর মহকুমার শতাধিক ডিলার এখনও কমিশন তোলেননি। জয়ন্তবাবু বলেন, রেশন ডিলারদের কমিশন পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই জেলায়। সমস্ত ব্যবস্থা করা রয়েছে। মাসের শেষে ফরম্যাট অনুযায়ী কে কোন সামগ্রী কতখানি বিলি করেছে, তার হিসেবে দিলেই আমরা তিন দিনের মধ্যে বিল ছেড়ে দিচ্ছি। ডিলারদের সংগঠনকেও এবিষয়ে আমরা জানিয়েছি।
এদিকে, গঙ্গারামপুরের রেশন ডিলার ওমপ্রকাশ কানু বলেন, আমার দোকানে পাঁচ জন কর্মী ছিলেন। কমিশন আটকে থাকায় কর্মচারী ছাটাই করতে বাধ্য হয়েছি। এখন নিজেকেই সব কিছু করতে হচ্ছে। এমন চলতে থাকলে আমাদের আন্দোলনের পথেই হাঁটতে হবে।
বালুরঘাটের এক ডিলার ও সেইসঙ্গে এমআর ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ভূপেশ ঘোষ বলেন, জেলাজুড়ে রেশন ডিলারদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।