অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
সোমবার রাতে ভেটাগুড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্রহ্মাণীর চৌকিতে তৃণমূল-বিজেপির গণ্ডগোলে দু’পক্ষের চারজন আহত হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন দিনহাটা হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শাসক দলের পার্টি অফিসে হামলার ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। এতে ভেটাগুড়ির সাধারণ বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি সুনীল রায় সরকার বলেন, সন্ধ্যায় তিনটি বাইকে করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের পার্টি অফিসে হামলা চালায়। ভিতরে থাকা আসবাবপত্র ওরা ভেঙে দেয়। পার্টি অফিসের বসে থাকা কয়েকজন দলীয় কর্মী, সমর্থককে ওরা মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। আমরা খবর পেয়ে সেখানে যাই। ততক্ষণে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ভেটাগুড়ি বাজারে ধিক্কার মিছিল করেছি। এলাকায় সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সেজন্য ওরা দুষ্কৃতীদের পাঠিয়ে আমাদের পার্টি অফিসে হামলা চালিয়েছে।
বিজেপির মণ্ডল সভাপতি মলয় রায় মণ্ডল বলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কেউ যুক্ত নয়। ওই দিন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে সকালেই সকলে কোচবিহারে গিয়েছিলেন। আমিও যাই। রাতে বাড়ি ফিরে ঘটনার কথা শুনতে পাই। আসলে কাজের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরে এমনটা হয়েছে। ওদের কোন্দল সকলেরই জানা। দোষ ঢাকতে আমাদের কর্মীদের বদনাম করা হচ্ছে। পুলিস নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করুক। তাহলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। এ বিষয়ে দিনহাটা থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। নতুন করে যাতে কোনও গণ্ডগোল না হয়, সেজন্য এলাকায় পুলিসি টহল চলছে।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকে বারবার রাজনৈতিক গণ্ডগোলে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দিনহাটা-১ ব্লকের ভেটাগুড়ি। বোমাবাজি, বাড়িঘর ভাঙচুর, মারধর নিত্য ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। পুলিস বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে এলাকা থেকে প্রচুর তাজা বোমা সহ বোমা তৈরির সরঞ্জাম, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে। কয়েকমাস আগেও পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে, সন্ধ্যা হতেই গণ্ডগোলের ভয়ে বাজার জনশূন্য হয়ে যেত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুষ্কৃতীদের গতিবিধির উপর নজরদারি রাখতে ভেটাগুড়ি চৌপথীতে পুলিস সিসিটিভি ক্যামেরাও লাগিয়েছিল। তারপর বেশ কয়েকমাস ধরে সেরকম বড় কোনও গণ্ডগোলের ঘটনা না ঘটলেও ফের নতুন করে তৃণমূল-বিজেপির রাজনৈতিক কোন্দলে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ভেটাগুড়ি।