সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
বুধবার বিকেলে দিনহাটা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত মদন মোহনবাড়ির অপূর্ব পার্ক এলাকায় একটি বাড়িতে কোচবিহারের বিজেপি সাংসদের কার্যালয়ের উদ্বোধন হওয়ার কর্মসূচি ছিল। কিন্তু তার আগে দুপুরে সেই অফিসে গিয়ে হামলা চালায় কিছু যুবক। স্থানীয় বিজেপি সমর্থকদের অভিযোগ, কাউন্সিলার জয়দীপের নেতৃত্ব একদল তৃণমূল কর্মী ওই কার্যালয়ে গিয়ে টেবিল চেয়ার ভাঙচুর করে। উদ্বোধনের জন্য আনা ফুল ফেলে দেয়। সেখানে উপস্থিত জনাকয়েক বিজেপি সমর্থক বাধা দিতে গেলে তাদের মারধর করে, বাইক ভেঙে দেয় বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরালো হতেই বিশাল পুলিস বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় দিনহাটা থানার পুলিসকর্তারা। খবর যায় সাংসদ নিশীথ প্রামানিকের কাছেও। এরপরই সন্ধ্যায় তিনি দলবল নিয়ে দিনহাটায় গিয়ে ওই কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন। পরে বলেন, দিনহাটার মানুষ গত লোকসভায় আমাকে দুহাত ভরে আর্শীবাদ করেছে। তখন কথা দিয়েছিলাম দিনহাটা শহরে একটি সাংসদ কার্যালয় খুলব। সেইমতো আজ মহাপঞ্চমীর দিনে এই কার্যালয় উদ্বোধনের দিন ঠিক করা হয়। শুধু সংসদ এলাকার কাজের জন্য। রাজনীতির করার অফিস নয় এটা। অথচ পুজোর দিনে ওরা অশান্তি করল। আসলে ওরা ভাঙার রাজনীতি করে। গড়ার নয়।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহর ঘনিষ্ঠ স্থানীয় ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূলের কাউন্সিলার জয়দ্বীপ ঘোষ তার বাহিনী নিয়ে এসে কার্যালয় ভাঙচুর করে অফিসের বাইরে ও ভিতরে টিএমসি লিখে দেয়। যদিও স্থানীয় কাউন্সিলার জয়দীপ ঘোষ ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে বলেন, কয়েকদিন ধরে স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ পাচ্ছিলাম, এই বাড়িটিকে বাইরের ছেলে এসে রং করছে। এই বাড়িতে কেউ থাকে না। বাড়ির লোকজন আমাকে ফোন করে জানান, দাদা কেউ আমাদের বাড়ি গেরুয়া রং করে পার্টি অফিস করার চেষ্টা করছে। তার পরেই আমি সেখানে যাই। গিয়ে দেখি, ঘরের ভিতর মদের আসর বসেছে। কিছু দিন ধরে এই বাড়িতে বাইরের লোকজন ঢুকে অসামাজিক কাজ করে। বাধা দিতে গেলে ওরাই গায়ে হাত দেয়। এরপরেই আমি পুলিশে খবর দিই। পুলিস এলে তাদের বলি এখানে তালা ঝুলিয়ে দিন। পাড়ায় এরকম অসামাজিক কাজ চলবে না। বিজেপি এটাকে নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে।
দিনহাটা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা দিনহাটার বিধায়ক তৃণমূলের উদয়ন গুহ বলেন, ওখানে পার্টি অফিস হতে পারে না। যাঁরা বাড়ি ভাড়া দিয়েছেন, তাঁরা পুরসভা বা থানায় কিছু জানাননি। কিন্তু পুরসভায় তো জানাতে হবে। স্বাভাবিকভাবে আমাদের ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। যখন শুনলাম ওরা আমাদের লোকেদের গায়ে হাত দিয়েছে, তখন আমি সেখানে গিয়েছি।
সাংসদ কার্যালয় উদ্বোধন করছেন নিশীথ প্রামাণিক। নিজস্ব চিত্র