সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
মঙ্গলবার ময়নাগুড়িতে পুলিস প্রশাসনের উদ্যোগে পুজো গাইডম্যাপ উদ্বোধনে এসেছিলেন অতিরিক্ত পুলিস সুপার (গ্রামীণ) দেন্ডুপ শেরপা। তিনি অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকেই জানিয়েছিলেন মাস্ক না পরে রাস্তায় বেরলে গ্রেপ্তার করা হবে। এরপর এদিন সকাল থেকে ময়নাগুড়ি সদরে পুলিসের অভিযান চলে। মোটর বাইক, টোটোয় এমনকী হেঁটেও যারা বিভিন্ন কাজে যান, তাদের অনেকেরই মুখে মাস্ক ছিল না। পুলিস তাদের দাঁড় করিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। অনেকেই বলে, মাস্ক পরতে ভুলে গিয়েছে, কেউ আবার বলে মাস্ক ছিঁড়ে গিয়েছে। কেউ পুলিসকে দেখে পকেটে থেকে মাস্ক বের করে মুখে পরে নেয়।
ময়নাগুড়ি থানার আইসি অসীম গোপ বলেন, বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। মাস্কহীনদের বিরুদ্ধে আমরা মামলা রুজু করছি। এই অভিযান প্রতিদিন চলবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। ময়নাগুড়ি পুলিসের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে ময়নাগুড়িবাসী।
এদিকে জলপাইগুড়ি শহরের পুজো মণ্ডপগুলি সরকারি বিধিনিষেধ মানছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে প্রশাসন অভিযান চালাচ্ছে। যদিও এসবের মাঝে শহরের বাজারে পুজোর শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় এখনও সচেতনতার অভাব চোখে পড়ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পথে নেমে হুঁশিয়ারিও দিচ্ছে প্রশাসন। তবে মাস্কহীনদের বিরুদ্ধে যতটা কঠোর ময়নাগুড়ির পুলিস, তেমনটা চোখে পড়েনি জেলা শহর জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়ির পাতকাটা কলোনির অগ্রণী সঙ্ঘ ও পাঠাগারের পুজো কমিটির সম্পাদক প্রদ্যুৎ দাস বলেন, সরকারি নির্দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পঞ্চমীতে আমরা মণ্ডপ স্যানিটাইজ করেছি। নিজেদেরই উদ্যোগে এটা করা হয়েছে। রাস্তায় ব্যারিকেড বসানো হচ্ছে। কোনও দর্শনার্থীকে মণ্ডপে ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পুজো নিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তর, জেলা প্রশাসন ও পুজো কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন থাকলেও পুজোর বাজারে ভিড়ে লাগাম টানা যাচ্ছে না। বুধবার শহরের ডিবিসি রোড, মার্চেন্ট রোড, কদমতলা বাজারেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ফুটপাতের দোকানগুলিতে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে কেনাবেচা চলে। মাস্ক ছাড়াই গণপরিবহণে অবাধে চলে লোকজনের যাতায়াত।
কোতোয়ালি থানার আইসি বিপুল সিনহা বলেন, পুলিস রাস্তায় রয়েছে। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, তাদের সতর্ক করা হচ্ছে। তবে মাস্ক নেই যাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা, তার কোনও জবাব দিতে পারেনি শহরেরর পুলিস। যা ময়নাগুড়িতে হচ্ছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকেও রীতিমতো অভিযান চালানো হচ্ছে। স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, মাস্ক না থাকায় বুধবারও শহরের বাজারে ৪১ জনের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়েছে। চারজনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। আক্রান্তদের বিশ্ববাংলা কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। করোনা মোকবিলায় নিযুক্ত উত্তরবঙ্গের ওএসডি ডাঃ সুশান্তকুমার রায় বলেন, আমরা বারবার প্রচার করছি কোনওভাবেই বাজারে যেন ভিড় না হয়। বাজারে যাতে ভিড় না হয়, সে ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং ও ফ্লেক্সের মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে।
ময়নাগুড়িতে ধরপাকড়। নিজস্ব চিত্র