অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা, বাহন ক্রয়ের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় সংশয় ... বিশদ
মাথাভাঙা মহকুমা জুড়ে কয়েক হাজার শ্রমিককে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বেশিরভাগ রেড জোন থেকে না আসায় সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে না রেখে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তাঁদের কারও শারীরিক সমস্যা হচ্ছে কি না বা করোনার লক্ষণ দেখা দিচ্ছে কি না, বাড়ির বাইরে যাতে না যান, সেব্যাপারে খোঁজখবর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আশা কর্মী সহ ভিআরপিদের। কিন্তু সম্প্রতি ময়নাগুড়িতে এক আশা কর্মীর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ায় ও কোচবিহার জেলায় একসঙ্গে ৩২ ও পরে ৩৭ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাঁরা ভিনরাজ্য ফেরত শ্রমিকদের বাড়িতে যেতে ভয় পাচ্ছেন। অপরদিকে গ্রামে গেলে অনেকেই অভিযোগ করছেন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ভিনরাজ্য ফেরতদের একাংশ কোনও নিয়ম মানছেন না। নানা কারণে বাড়ির বাইরে যাওয়া সহ বাজারেও যাচ্ছেন। এসব অভিযোগ শোনার পর বাড়িতে গিয়ে তাঁদের বোঝানোর কাজ করতে হচ্ছে আশা কর্মী ও ভিআরপিদের। তাঁদের দাবি, এতে ভিনরাজ্য ফেরত কেউ করোনা পজিটিভ হলে সংক্রমণের ভয় থাকছে। কারণ তাঁরা শুধু মাস্ক পরেই যাচ্ছেন। তাঁদেরকে গ্লাভস বা পিপিই কিট দেওয়া হয়নি। অবিলম্বে পিপিই দেওয়া হোক বলে তাঁরা দাবি করেছেন।
এব্যাপারে মাথাভাঙা-১ ব্লকের আশা কর্মী অর্পিতা সরকার, শীতলকুচির জেসমিনা পারভিন বলেন, জেলায় ৬৯ জন করোনা রোগীর সন্ধান মেলায় ও ময়নাগুড়িতে এক আশা কর্মীর সংক্রমণ ধরা পড়ায় আমরা আশঙ্কায় রয়েছি। পরিবারের কথা ভেবে ভিনরাজ্য ফেরত শ্রমিকদের বাড়ি বাড়ি যেতে সাহস পাচ্ছি না। আমাদের সুরক্ষায় পিপিই কিট দেওয়া হয়নি। একাধিকবার আমরা এনিয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের জানিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
এব্যাপারে মাথাভাঙা মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিন্দিতা দাস বলেন, আমাদেরও করার কিছু নেই। রাজ্য থেকে যেভাবে নির্দেশ আসছে, আমরা সেভাবেই আশা কর্মী সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছি। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে আমাদের মহকুমায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ইটভাটার শ্রমিকরাই সাধারণত রয়েছেন। তাঁদের করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটাই কম। ভয় না পেয়ে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।