অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা, বাহন ক্রয়ের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় সংশয় ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, ভিনরাজ্য থেকে প্রচুর শ্রমিক জেলায় আসছেন। সবাইকে স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। স্ক্রিনিংয়ের পরে ফের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। কোনও কৌশল অবলম্বন করলেও কেউ নিস্তার পাবেন না। সাময়িক ভাবে ওষুধ খেয়ে শরীরে তাপমাত্রা কমলেও পরে দফায় দফায় যে পরীক্ষা করা হচ্ছে, সেখানে ধরা পড়বেই। জেলা জুড়ে ভিনরাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তর যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে প্রায় লক্ষাধিক শ্রমিক ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে আটকা পড়ে রয়েছেন। ইতিমধ্যে ২০ হাজার শ্রমিক জেলায় ফিরেছেন। নতুন করে আরও শ্রমিক আসতে শুরু করেছেন। কেউ গাড়ি ভাড়া করে, কেউ হেঁটে, কেউ আবার প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলায় ফিরছেন। তাঁদের অনেকেই কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। অনেকেই আবার কোয়ারেন্টাইন নিয়ে আতঙ্কিত। স্বাভাবিক কারণে তাঁরা কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে ভেবে ওষুধ খাওয়ার কৌশল নিচ্ছেন। এনিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যকর্মীরা। মূলত স্ক্রিনিংয়ের সময় শরীরে বেশি তাপমাত্রা থাকলে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ফলে শ্রমিকরা জেলায় ফেরার এক ঘণ্টা আগে স্ক্রিনিং করার আগে তাপমাত্রা কমানোর নানা প্রকার ওষুধ খাচ্ছেন। এতে স্ক্রিনিংয়ের সময় তাঁদের তাপমাত্রা স্বাভাবিক দেখাচ্ছে। একই ভাবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েও তাঁরা সেই পথ অবলম্বন করছেন। ফলে তাঁদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তর সজাগ হয়েছে। তারা দফায় দফায় নানা পরীক্ষা করেছে। প্রথমে জেলায় প্রবেশের পরে স্ক্রিনিং করে নির্দিষ্ট ব্লকের জন্য রাখা বাসে তুলে দেওয়া হচ্ছে। বাস থেকে নামিয়ে ফের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। এরপর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। এতে অনেক সময় কৌশল ধরা পড়ে যাচ্ছে।