ব্যবসায়ে যুক্ত হলে এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো যাবে না। প্রেম প্রণয়ে বাধা। কারও সাথে ... বিশদ
করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় সরকারের নির্দেশে রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মতো শিলিগুড়ি শহরও লকডাউন হয়ে আছে। লকডাউন চলায় শহরের দিনমজুররা কার্যত চরম বেকায়দায় পড়েছেন। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে তৎপর হয়েছে পুরসভা। এ দিন মেয়র বলেন, অসংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত অনেক শ্রমিক রোজগারহীন হয়ে পড়েছেন। এঁদের মধ্যে অত্যন্ত গরিব প্রায় ১০ হাজার মানুষ রয়েছেন। তাঁদেরকে এপ্রিল ও মে মাসে বিনামূল্যে পাঁচ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। এ জন্য পুরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ করা হবে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা।
মেয়র আরও বলেন, সম্পত্তি হস্তান্তরের বকেয়া চার্জ আদায়ের ফি ইতিমধ্যে দু’শতাংশ থেকে কমিয়ে এক শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি জল করের সুদ মকুব করা হয়েছে। এসব সুবিধা ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেওয়ার কথা। বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট ছাড়ের সুবিধার মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। পুর করের উপর আরোপিত সুদ মকুব করার প্রস্তাব বিবেচনা করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে তা কার্যকর করা হবে। বর্তমানে পুরসভার জরুরিকালীন কাজের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত স্থায়ী, অস্থায়ী, দৈনিক হাজিরার পুরকর্মীদের অন্তবর্তীকালীন পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। কর্মরত সাফাই কর্মীদের দিনে ১০০ টাকা করে টিফিন ভাতা দেওয়া হবে। একইসঙ্গে কাউন্সিলারদের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে, তাঁদের মাসিক সাম্মানিক থেকে এককালীন ১০ হাজার টাকা করে মেয়রের ত্রাণ তহবিলে দান করার। পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পুরভবনে চালু করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। যার ফোন নম্বর (০৩৫৩) ২৫৩৬৫৪৫।
অন্যদিকে, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবও। তিনিও একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছেন। প্রতিদিন পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন। এদিন পিডব্লুডি ইন্সপেকশন বাংলোতে বেঙ্গল কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের শিলিগুড়ি ইউনিটের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওষুধের স্টক সহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।