উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
জেলাশাসক বলেন, ৩১ জানুয়ারির পর থেকে ইংলিশবাজার শহরে টোটো চলাচল করতে দেওয়া হবে না। সেদিনের পর থেকে শুধুমাত্র ই-রিকশ রাস্তায় চলাচল করবে। এব্যাপারে সময়সীমা বাড়ানোর কোনও প্রশ্ন নেই।
সিটু অনুমোদিত মালদহ জেলা টোটো এবং ই-রিকশ চালক ইউনিয়নের সভাপতি মুকুল কর্মকার বলেন, অন্যান্য জেলায় প্রশাসনের তরফে টোটো চলাকদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে। শহরের ক্ষেত্রে পুরসভা অনুমোদিত টোটোগুলিকে রাস্তায় নামতে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ইংলিশবাজার পুরসভা তা করছে না। প্রশাসনের মাধ্যমে তারা টোটো চালকদের সমস্যায় ফেলছে। ৩১ জানুয়ারির পর থেকে টোটো রাস্তায় নামতে দেওয়া হবে না বলে প্রশাসন ঘোষণা করেছিল। ওই সময়সীমা বৃদ্ধি করার জন্য আমরা এদিন ডেপুটেশন দিই। কিন্তু সময় বৃদ্ধি করা হবে না বলে এদিন জেলা প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনায় বসব। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ ঘোষণা করা হবে। এদিনের ধর্মঘটের ফলে সাধারণ যাত্রীরা টোটোর অভাবে সমস্যার কথা বুঝতে পেরেছেন।
পুরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, টোটো চলাচলের ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা প্রশাসন নেবে। এব্যাপারে আমাদের কিছু করণীয় নেই।
শহরের বাসিন্দা শ্যামল সাহা, মহম্মদ হবিবুর বলেন, আমাদের বাড়ি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। কালেক্টরেট বা শহরের অন্যত্র যাতায়াতের জন্য টোটোই প্রধান ভরসা। এদিন টোটো না পেয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়।
অন্যদিকে, চিত্রা দাস, সুকমলকান্তি বিশ্বাস বলেন, অন্যান্য দিন শহরের রাস্তায় পা ফেলা যায় না। এদিন ইংলিশবাজার যানজট মুক্ত ছিল। শহরবাসী টোটোর যন্ত্রণা থেকে কিছুটা রেহাই পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো মালদহেও টোটোর রমরমা চোখে পড়ে। তবে অন্যান্য জেলার তুলনায় মালদহে টোটোর সংখ্যা বেশি বলে পুলিস ও প্রশাসন জানিয়েছে। জেলার সদর শহর ইংলিশবাজারে টোটোর দাপট সবচেয়ে বেশি। মাসছয়েক আগেও শহরে দৈনিক ৩০ হাজারেরও বেশি টোটো চলাচল করত। ওইসময় শহরের রাস্তায় পা ফেলার জো ছিল না। পুলিস এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংলিশবাজার শহরে প্রায় তিন হাজার টোটো রয়েছে। ওই সংখ্যক টোটো শহরে চলাচল করলে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু আশাপাশের এলাকা, বিশেষত পুরাতন মালদহ এলাকার বহু টোটো শহরে যাত্রী পরিবহণের কাজ করে। ফলে ইংলিশবাজার শহরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় টোটোর উপর নিয়ন্ত্রণের দাবিতে শহরবাসী সরব হয়। বাসিন্দাদের চাপে পুলিস ও প্রশাসন সক্রিয় হয়। বেআইনিভাবে চলাচলকারী টোটোর বিরুদ্ধে পুলিস ধারাবাহিক অভিযান শুরু করে। গ্রামাঞ্চল এবং পুরাতন মালদহ শহরের টোটো ইংলিশবাজারে ঢোকার ক্ষেত্রে পুলিস নিষেধাজ্ঞা জারি করে।