আত্মবিশ্বাস এত বৃদ্ধি পাবে যে, কোনও কাজই কঠিন মনে হবে না। সঞ্চয় বেশ ভালো হবে। ... বিশদ
ছাত্রাবাসের আবাসিকরা জানান, ছাত্রাবাসের পিছনে সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় পাইপ দিয়ে ক্রমাগত জল পড়ে তা এলাকায় জমে রয়েছে। পাঁচিল ঘেরা ওই চত্বরের বিশাল জায়গা জুড়ে ওই জল ছড়িয়ে রয়েছে। সেখানে শ্যাওলা, আবর্জনা জমে রয়েছে। সেখান থেকে বাড়ছে মশা, মাছি, পোকামাকরের উৎপাত। মশারি ছাড়া ঘুমানো একেবারেই যায় না। এরমধ্যে আগাছাও গজিয়ে উঠেছে। সেখান থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। ছাত্রাবাসে ঘরে টেকা যায় না। একেবারেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ হয়ে রয়েছে। ওই বদ্ধ জলের জন্য খুব অসুবিধা হচ্ছে। এই সমস্যা দীর্ঘ দিনের। কর্তৃপক্ষকে বারবার বলেও কোনও কাজ হচ্ছে না। আবাসিকরা বলেন, ছাত্রাবাস চত্বর নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। আমরা আমাদের ঘর ও সামনের বারান্দা পরিষ্কার করে দিই। কিন্তু আশপাশে ময়লা জমে রয়েছে। ছাত্রাবাসের অনেক ইলেকট্রিক বোর্ড পুরানো হয়ে গিয়েছে। জলের ট্যাঙ্কের কোনও ঢাকনাও নেই। একাধিক সমস্যা নিয়ে এখানে থাকতে হচ্ছে। কলেজ কর্তৃপক্ষকে এসব নিয়ে বারবার বলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি। জেলার বিভিন্ন জায়গায়, এই পুরাতন মালদহেও যেভাবে অজানা জ্বর হচ্ছে তাতে এই দূষিত পরিবেশে থাকতে বেশ ভয় লাগছে। এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে থাকতে কারও কোনও বড় অসুখ হয়ে যেতে পারে। এনিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা দরকার।
পুরাতন মালদহ ব্লকের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বৈদ্য ঘোষ বলেন, ছাত্রাবাসে সমস্যা রয়েছে। এনিয়ে আগে আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। তারা বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও কাজ হয়নি। আমরা আবার কলেজ কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হব।
হস্টেল সুপার নীলাদ্রি শেখর মৃধা বলেন, এনিয়ে আমাদের বড় পরিকল্পনা রয়েছে। জল নিয়ে ভবিষ্যতে আর সমস্যা থাকবে না। জল নামানোর ব্যবস্থা করা হবে। ওই জল পুকুরে ফেলা হবে। নোংরা সরিয়ে ফেলা হবে। হস্টেল নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়। এর সংস্কারের বিষয়টি নিয়েও ভাবা হবে। কলেজ এখন সাজানো হচ্ছে। ছাত্রাবাসে অনেক কাজ করা হয়েছে। সব কাজ একবারে হয় না। সব সমস্যার সমাধান হবে।