কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
নিউ সাউথ ওয়েলস অ্যাম্বুলেন্সের এক মুখপাত্র জানান, কমপক্ষে আটজনকে সিডনির বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যেকের আঘাত গুরুতর। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আততায়ীর তাণ্ডবের জেড়ে গোটা মলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই মলের ভিতরে থাকা দোকানগুলিতে আশ্রয় নেন। খবর পাওয়ামাত্র দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস ও উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। প্রথমেই শপিং মল থেকে শয়ে শয়ে মানুষকে উদ্ধার করা হয়। এরপর এলাকা ঘিরে শুরু হয় তল্লাশি। হামলাকারীকে বাগে আনতে গুলি চালায় পুলিস। তাতেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। অভিযুক্তের পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিস। হামলার কারণ অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। একইসঙ্গে জঙ্গি যোগের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এবিষয় নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিসের এসিপি অ্যান্থনি কুক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আততায়ীর পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে।’
এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। তাঁর কথায়, ‘একাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। অত্যন্ত হৃদয় বিদারক ঘটনা। মৃতদের পরিবার ও প্রিয়জনদের পাশে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যেক নাগরিক। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। পুলিস ও উদ্ধারকারী দলের প্রত্যেক সদস্যকে ধন্যবাদ জানাই।’
শনিবারের বিকেল। সপ্তাহান্তে ভিড়ে ঠাসা ওয়েস্টফিল্ড বোন্ডি জংশন মল। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। আচমকা বড় ছুরি হাতে শপিং মলে প্রবেশ করে আততায়ী। পরনে অস্ট্রেলিয়ার রাগবি লিগের জার্সি। সামনে থাকা প্রত্যেক মানুষকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে সে। মহিলা হোক বা শিশু, কাউকেই রেয়াত করেনি অভিযুক্ত। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, হাতে ছুরি নিয়ে উদভ্রান্তের মতো ছুটছে আততায়ী। মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন অনেকে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে ভয়ের ছবি স্পষ্ট। কাজ শেষে শপিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন প্রাঞ্জুল বোকারিয়া। আততায়ীর হাত থেকে বাঁচতে প্রথমে মলের একটি দোকানে আশ্রয় নেন তিনি। তারপর সুযোগ বুঝে আপৎকালীন পথ (ইমার্জেন্সি এক্সিট) দিয়ে বাইরে চলে আসেন ওই মহিলা।