সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে সেদেশের বিরোধী দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি)। ক্রমশ সেখানে ভারতের বিরোধিতার সুর চড়ছে। এতদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় এটা সীমাবদ্ধ থাকলেও এবার সেই বিরোধিতায় লেগেছে রাজনীতির ছোঁয়া। তাতে মদত দিচ্ছে বিএনপি ও তাদের সহযোগী দল। যে দেশে ভারত থেকে একদিন পণ্য রপ্তানি না হলে সঙ্কট শুরু হয়ে যায়, সেই দেশে ভারতের বিরোধিতাকে অনেকেই কটাক্ষ করেছেন। বিরোধীদের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন আওয়ামি লিগের প্রধান তথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিরোধীদের কটাক্ষ করে তাঁকে বলতেও শোনা গিয়েছে, তাঁরা স্ত্রীদের শাড়িগুলি ছিনিয়ে নিয়ে কেন আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন না?
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পেট্রাপোল অন্যতম স্থলবন্দর। প্রতিদিন শয়ে শয়ে পণ্য বোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে যায় এই সীমান্ত দিয়ে। নিত্যপ্রয়োজনীয়, জিনিস থেকে গাড়ি বা বাড়ির দ্রব্য, কলকারখানার জিনিসপত্র সবই এদেশে থেকেই যায় ওদেশে। বনগাঁ শহরে বেশ কয়েকটি বাজারে প্রতিদিন বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিড় জমে। বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে এই শহরে এসে বাজার করে নিয়ে যান তাঁরা। ওদেশে এইসব জিনিসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে উৎপাদন না থাকায় এদেশের বনগাঁ শহরের উপর নির্ভর করতে হয় তাঁদের।
বনগাঁ টাউন কালীবাড়ি মার্কেটে সারাদিন বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিড় লেগে থাকে। বিকালের পর ওই বাজারে গেলে মনে হতে পারে মিনি বাংলাদেশ। এখনকার দোকান থেকে বিভিন্ন মশলা, সাবান, কসমেটিক, পোশাক প্রভৃতি কিনে নিয়ে যান বাংলাদেশিরা। মূলত মহিলারা এই কাজ করে থাকলেও বহু পুরুষ এখন এই কাজে যুক্ত। জানা গিয়েছে, এঁরা সকলেই ভিসা নিয়ে এদেশে আসেন। শহরের হোটেলগুলিতে আশ্রয় নেন। একদিন বা দু’দিন থেকে বাজার করে নিয়ে যান ওপার বাংলায়। সেখানে বিক্রি করে সংসার চালান।
এদিন বনগাঁর বাজারে এসেছিলেন বাংলাদেশের দিঘিরপাড়ের বাসিন্দা সাজমিন। তিনি বলেন, পনেরো দিন অন্তর ভারতে আসি। দু’দিন থেকে বাজার করে নিয়ে যাই। তাঁদের দেশে ভারতের পণ্য বয়কটের ডাক নিয়ে প্রশ্ন করতেই তাঁর মুখে মুচকি হাসি। বললেন, এখান থেকে জিনিস না গেলে আকাল লাগবে আমাদের। ওদেশের নোয়াপাড়ার বাসিন্দা পারভিন বলেন, নিয়মিত এদেশে আসি জিনিসপত্র কিনতে। এগুলো ওপারে বিক্রি করলে কিছু রোজগার হয়। কিন্তু দেশে নিয়ে যেতে গেলে আমাদের দেশের জওয়ানরা মাঝে মধ্যে পণ্য কেড়ে নেন। তাই লাভ একটু কমেছে। বাংলাদেশিদের এদেশে আসায় বনগাঁয় ব্যবসায়ীদেরও বিক্রি বেড়েছে। নিজস্ব চিত্র