সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গিয়েছে, জিনপিং মঙ্গলবার গুয়াংডঙের একটি সেনা শিবির পরিদর্শনে যান। সেখানে বাহিনীর মনোবল চাঙ্গা করতেই যুদ্ধজিগির তোলেন তিনি। যদিও তাঁর হুঁশিয়ারির লক্ষ্য ভারত, আমেরিকা নাকি অন্য কোনও দেশ—সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। কারণ, দক্ষিণ চীন সাগরে অতি সক্রিয়তা নিয়ে বেশ কয়েক’টি দেশের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছে বেজিং। আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য-যুদ্ধ তো চলছিলই। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিক্ততা তৈরি হয়েছে চীনের। যার প্রধান কারণ, কোভিড সংক্রমণ। অন্যদিকে, তাইওয়ানকে তিনটি অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র বিক্রির ব্যাপারে আলোচনা চালাচ্ছে আমেরিকা। সোমবার মার্কিন কংগ্রেসকে একথা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। জবাবে ওয়াশিংটনকে এই ধরনের সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকার আবেদন জানান চীনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান।
এদিকে, দু’দিন আগেই চীন সীমান্ত লাগোয়া লাদাখে ৪৪টি সেতু উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করে বেজিং। চীনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানান, লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণার বিষয়টি তাঁরা অনুমোদন করেন না। এর ফলে সীমান্তে উত্তেজনা বাড়বে। পাল্টা ভারতের দাবি, লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এনিয়ে বেজিং কিছু বলতে পারে না। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, কেন্দ্রশাসিত লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং থাকবে। একইভাবে অরুণাচল প্রদেশও ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একথা একাধিকবার চীনকে খুব স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে চীনা প্রেসিডেন্টের যুদ্ধ-বার্তা নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি নয়াদিল্লি।