বিদ্যার্থীদের উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। ব্যবসাতে যুক্ত ... বিশদ
সেন্ট থমাস হাসপাতালের নার্স জান টিপিং। বয়স ৩৪। ওই হাসপাতালে বছরখানেক আগে চিকিৎসক হিসেবে কাজে যোগ দেন আন্নালান নবরত্নম। তিরিশের তরতাজা যুবক। তাঁর থেকে চার বছরের বড় জান। তাতেই বা কী আসে-যায়? একে অপরের ভালো লাগার মাঝে চোখ রাঙাতে পারেনি বয়সের ফারাক। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন দু’জনে। কোভিডের দুঃসময় কাটিয়ে আগামী আগস্টে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। কিন্তু মারণ ভাইরাসের হাত থেকে এখনই মুক্তির সম্ভাবনা নেই। ফলে ছুটি জুটবে না হাসপাতাল থেকেও। মত বদল করেন জান-নবরত্নম। বিয়ের দিন আগস্ট থেকে এগিয়ে এনে ২৪ এপ্রিল দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেন তাঁরা। কিন্তু বিয়ে করবেন কোথায়? কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসায় এই মুহূর্তে তাঁদের নাওয়া-খাওয়ার জো নেই। কর্তব্যের টানে হাসপাতালও ছাড়া যাবে না। অতঃপর, দু’জনেই ঠিক করেন বিয়েটা হাসপাতালেই সেরে ফেলবেন। সেই মতো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যাজকদের শরণাপন্ন হন জান-নবরত্নম।
হাসপাতালেরই প্রার্থনা গৃহে বিয়ে করেন তাঁরা। একেবারেই অনাড়ম্বর অনুষ্ঠান। দুই পরিবারের তেমন কোনও অথিতির উপস্থিতি চোখে পড়েনি। আসেননি দূর-দূরান্তের স্বজনরাও। আমন্ত্রিত ছিলেন শুধুমাত্র হাসপাতালের সহকর্মীরা। জান বলছিলেন, ‘কর্মস্থলে বিয়ে করতে পেরে সত্যিই খুব দারুণ লাগছে। একেবারে অন্য ধরণের এক অভিজ্ঞতা। জীবনের এই স্মৃতি আমৃত্যু টাটকা থাকবে।’ নবরত্নমের কথায়, ‘বেশ বড় অনুষ্ঠান করে আমাদের বিয়ের পরিকল্পনা ছিল। লন্ডনে আমন্ত্রণ জানাতাম আত্মীয়-স্বজনদের। সে সব আর কিছুই করতে পারলাম না। তা হলেও এই বিয়ে আমার জীবনের স্মৃতি-সম্পদ হয়েই থাকবে।’