শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
এবার দেখা যাক, মহিলা না পুরুষ, কারা সংক্রামিত হচ্ছেন বেশি? ডেনমার্কে মোট সংক্রামিতের ৫৪ শতাংশ মহিলা। পুরুষ ৪৬ শতাংশ। সুইজারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডে সংক্রামিতের মধ্যে মহিলা ৫৩ শতাংশ, পুরুষ ৪৭ শতাংশ। আর ভারতে নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ প্রায় ৬৪ শতাংশ। বাকি অংশ মহিলা। এম আর বাঙ্গুর কোভিড হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের ইনচার্জ ডাঃ শুভব্রত পাল বলেন, পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারা আক্রান্ত হলেও সংক্রমণজনিত শারীরিক জটিলতা মহিলাদের কম। ধারণা করা হয়, পুরুষ হর্মোন টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণের হার বেশি হওয়ায় বেসাল মেটাবলিক রেট (বিএমআর) বেশি হয়। বিএমআর বেশি থাকলে প্রদাহজনিত অসুখের প্রতিক্রিয়া বেশি হয়। তবে এ সবই ধারণা। এ নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রবীণ ফিজিশিয়ান ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তদের কমবেশি দুই তৃতীয়াংশ পুরুষ, এক তৃতীয়াংশ মহিলা। ‘এসিই ২ রিসেপটর’-এর তুলনায় ‘টোল-লাইক রিসেপটর’ অনেক বেশি থাকে মহিলাদের। টোল-লাইক রিসেটপর শরীরে সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। পুরুষ দেহে এসিই ২ রিসেপটরের সংখ্যা বেশি। এই রিসেপটরের মাধ্যমেই এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে। এই রিসেপটর থাকে ফুসফুস, আর্টারি, হার্ট, কিডনিতে। ফলে একাধিক অঙ্গ বিকল হওয়ার আশঙ্কা পুরুষদেরই বেশি।
এছাড়াও বিশেষজ্ঞদের দাবি, মহিলাদের এক্স ক্রোমোজোম থাকে দুটি। এর সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার যোগ রয়েছে। নারী দেহে ইস্ট্রোজেন, প্রজেস্টেরনের মতো হর্মোনও আসলে সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। এছাড়া কিছু জিনও হতে পারে ধাঁধার উত্তর। কিন্তু কোনওটাই প্রমাণিত সত্য নয়। ফলে এনিয়ে রহস্য থেকেই যাচ্ছে।