শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
এর মধ্যেই দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় সংক্রমণের মাত্রা বাড়ছে। এই অবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলিকে সতর্ক করল আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’। তারা জানিয়েছে, করোনা মোকাবিলায় স্থানীয় স্তরে তথ্য সংগ্রহ এবং তার মূল্যায়ন করে দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। হু’য়ের তথ্য অনুযায়ী, এই অঞ্চলে ইতিমধ্যে ১ লক্ষ ২২ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মৃতের সংখ্যাও ৪ হাজারের বেশি। এরমধ্যে শুধুমাত্র ভারতেই আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮২ হাজার। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ ঠেকাতে দ্রুত পরীক্ষা, আইসোলেশন, চিকিত্সা ও কন্ট্রাক্ট ট্রেসিংয়ের উপর বিশেষ জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন হু’য়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত রিজিওনাল ডিরেক্টর ডা: পুনম ক্ষেত্রপাল সিং।
বিশ্বজুড়ে প্রাণহানির নিরিখে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমেরিকা। শুক্রবার পর্যন্ত সেখানে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ১৪ লক্ষ ৫৮ হাজার এবং ৮৬ হাজার ৯৪২। এদিকে, করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম থেকে ওষুধপত্র জোগাড় করতে হিমশিম খেয়েছে মার্কিন প্রশাসন। তাই ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয়, তার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নেবেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে, করোনা সঙ্কট নিয়ে ট্রাম্প সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন করোনার প্রতিষেধক তৈরির দায়িত্বে থাকা সরকারি স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্তন ডিরেক্টর রিক ব্রাইট। তাঁর অভিযোগ, করোনা মোকাবিলায় প্রশাসন এখনও যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। গতমাসেই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, আমেরিকায় বেশ কিছু শিশু বিরল প্রদাহজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে। যার সঙ্গে করোনার সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনই ১১০ জন আক্রান্তকে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে নিউ ইয়র্ক প্রশাসন। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে ইউরোপজুড়ে। মৃতের সংখ্যা নিরিখে স্পেনকে টপকে গেল ফ্রান্স। শেষ ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে ৩৫১ জন প্রাণ হারিয়েছে। সবমিলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৪২৫ জনের। পাশাপাশি, স্পেনে মৃতের সংখ্যা ২৭ হাজার ৩২১। সংক্রমণের হার কিছুটা হ্ব্রাস পাওয়ায় লকডাউন শিথিল করতে শুরু করেছে জার্মানি, স্লোভেনিয়া সহ একাধিক দেশ। পাশাপাশি, সীমান্তে যেসব বিধিনিষেধ ছিল, তাতেও ছাড় দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সিঙ্গাপুরেও শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৭৯৩ জন করোনা পজিটিভ রোগীর খোঁজ মিলেছে। আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র একজন বাদে সকলেই বিদেশি শ্রমিক। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ হাজার ৮৯১-এ পৌঁছে গেল। প্রাণ হারিয়েছে ২১ জন। চীনে নতুন করে ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। পাশাপাশি, নেপালেও আরও ৯ জন মারণ ভাইরাসের শিকার হয়েছে। সবমিলিয়ে সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫৮-তে পৌঁছেছে। অন্যদিকে, করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলেও শনিবার থেকে দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা শুরুর অনুমতি দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। শুক্রবার পর্যন্ত সেখানে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৭ হাজার ২১৮ ও ৮০৩ জন। ভ্যাটিকান সিটিতে পিপিই কিট পরেই চলছে সাফাইয়ের কাজ। এএফপি