ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
তবে, করোনা সংক্রমণের নিরিখে এই মুহূর্তে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশের ধারেকাছে কেউ নেই। আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭৭৬। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নিউ ইয়র্কের। আমেরিকায় করোনা সংক্রমণে এই শহরই এখন মূলকেন্দ্রে। নিউ ইয়র্কে এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ৪ হাজার ৭৫০ জনেরও বেশি। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি ঘোরালো হচ্ছে জাপানেও। ভালো নেই ফ্রান্স, ব্রিটেন, ইরান, পাকিস্তান সহ গোটা আরব দুনিয়া ও ইউরোপের বাকি দেশগুলিও। এর মধ্যে করোনা প্রতিরোধে কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। সেখানে কোভিড পজিটিভ দুই বৃদ্ধের চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি চালু করেছিলেন চিকিৎসকরা। তাতে দুর্দান্ত সাফল্য মিলেছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের দাবি।
জাপানে চার হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের। টোকিও, চিবা, কংগাওয়া, ফুকুওকা, ওসাকা সহ বিভিন্ন শহরে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। ওই শহরকে সংক্রমণের হটস্পট চিহ্নিত করে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তিনি বলেছেন, করোনার মোকাবিলায় এছাড়া আর কোনও পথ খোলা ছিল না। মৃত্যু মিছিল অব্যাহত স্পেনেও। সেদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গত চারদিন ধরে মৃত্যুর হার ধীরে ধীরে কমছিল। মঙ্গলবার সেই হার ফের ঊর্দ্ধমুখী। মারা গিয়েছেন ৭৪৩ জন। সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭৯৮।
ইতালির পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির পথে। টানা প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে ইতালিতে মৃত্যুর হার ছিল নিম্নমুখী। রবিবার সবচেয়ে কম সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়। কিন্তু সোমবার মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয় ৬৩৬। তবে ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, মৃত্যুর হারের নিরিখে আগের চেয়ে পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো। নতুন করে সংক্রমণের হারও কমে দাঁড়িয়েছে ২.৮ শতাংশে। ইতালিতে এখন পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সাড়ে ১৬ হাজারেও বেশি মানুষ। দেশের ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে চাঙা করতে চার লক্ষ কোটি ইউরোর আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কোন্তে। দীর্ঘ একমাসের লকডাউনে মুষড়ে পড়া শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আনতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে ইতালি সরকার। এদিকে, সুইডেনে আরও ১১৪ জন আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত সে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৫৯১। করোনার থাবায় ইরানের অবস্থাও সঙ্কটজনক। ইরানের সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৩৩ জনের। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮৭২। আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫ হাজারের কাছাকাছি। সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে পাকিস্তানে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, দেশে একদিনেই কোভিড-১৯’এ আক্রান্ত হয়েছেন ৫০০ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৫৪।