ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
লন্ডন, ৬ এপ্রিল (পিটিআই): করোনা ভাইরাসের মারণ থাবায় পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে ব্রিটেনে। কঠিন এই সময়ে দেশবাসী ও কমনওয়েলথ দেশগুলোকে উদ্বুদ্ধ করলেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। উইন্ডসর ক্যাসল থেকে বিশেষ ভাষণ দিলেন, এই অচেনা শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। রানির মতে, যুদ্ধের সময়ে যে সংকল্প ও আত্মশৃঙ্খলার প্রয়োজন হয়, এই মুহূর্তে তা সর্বাগ্রে দরকার।
৯৩ বছরের ব্রিটিশ রানি ৫৪ সদস্যের কমনওয়েলথ গোষ্ঠীর প্রধান। এই গোষ্ঠীর সদস্য ভারতও। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বলেন, ‘বিপত্তির এই সময়ে নিদারুণ শোক, যন্ত্রণা ও আর্থিক সমস্যার মুখে মানুষ। সম প্রচেষ্টায় ঐক্যবদ্ধ হবে গোটা পৃথিবী। এই চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে মানুষ যেভাবে রুখে দাঁড়াচ্ছে, ভবিষ্যতে তা প্রত্যেকের কাছেই গর্বের বিষয় হবে।’
৯৮ বছর বয়সি স্বামী যুবরাজ ফিলিপকে নিয়ে গতমাস থেকে উইন্ডসর ক্যাসলেই রয়েছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। সেখান থেকে ব্রিটেনের জনগণের কাছে তাঁর আর্জি, ‘সরকারের নির্দেশিকা মেনে বাড়িতেই থাকুন। এই মারণ ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া আটকানোর লক্ষ্যে এটা জরুরি।’ ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস সহ যেসব মানুষ একেবারে সামনে থেকে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানান রানি। রবিবার সম্প্রচারিত রানির চার মিনিটের এই ভাষণটি রেকর্ড করা হয়েছে তাঁর উইন্ডসর ক্যাসলের হোয়াইট ড্রইং রুমে। বিবিসির একজন মাত্র ক্যামেরাম্যান সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর গোটা শরীর ঢাকা ছিল নিরাপদ পোশাকে। অন্য টেকনিশিয়ানরা উপস্থিত ছিলেন পৃথক ঘরে। দূরত্ব বজায় রাখার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হয় প্রতি মুহূর্তেই।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের এই মর্মস্পর্শী ভাষণে অনেকেই তাঁর বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ভাষণের প্রতিধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন। দুই ক্ষেত্রেই সঙ্কটের মুহূর্তে দেশকে একত্রিত করার প্রচেষ্টা স্পষ্ট। প্রতি বছর বড়দিনের বার্তা ছাড়া ব্রিটিশ রাজা বা রানির এইভাবে বিশেষ ভাষণ রাখার ঘটনা বিরল। এর আগে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বিশেষ ভাষণ দেন মাত্র চারবার। ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময়, ১৯৯৭ সালে যুবরানি ডায়ানার শেষকৃত্যের আগে, ২০০২ সালে রাজমাতার মৃত্যুতে এবং ২০১২ সালে নিজের হীরক জয়ন্তী উপলক্ষে।
করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছে ব্রিটিশ রাজ পরিবারেও। আক্রান্ত হয়েছেন রানির ছেলে যুবরাজ চার্লস। আপাতত তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে শুধু রাজপরিবার নয়, ভাইরাস হানার মুখে পড়তে হয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকেও। তবে অসুস্থতাও মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী ফোনে নিয়মিত রানির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন বলে সরকারি সূত্রে খবর। এরকম কঠিন পরিস্থিতিতেই দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে বিশেষ ভাষণ দিলেন রানি। ছবি: এএফপি
৯৩ বছরের ব্রিটিশ রানি ৫৪ সদস্যের কমনওয়েলথ গোষ্ঠীর প্রধান। এই গোষ্ঠীর সদস্য ভারতও। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বলেন, ‘বিপত্তির এই সময়ে নিদারুণ শোক, যন্ত্রণা ও আর্থিক সমস্যার মুখে মানুষ। সম প্রচেষ্টায় ঐক্যবদ্ধ হবে গোটা পৃথিবী। এই চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে মানুষ যেভাবে রুখে দাঁড়াচ্ছে, ভবিষ্যতে তা প্রত্যেকের কাছেই গর্বের বিষয় হবে।’
৯৮ বছর বয়সি স্বামী যুবরাজ ফিলিপকে নিয়ে গতমাস থেকে উইন্ডসর ক্যাসলেই রয়েছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। সেখান থেকে ব্রিটেনের জনগণের কাছে তাঁর আর্জি, ‘সরকারের নির্দেশিকা মেনে বাড়িতেই থাকুন। এই মারণ ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া আটকানোর লক্ষ্যে এটা জরুরি।’ ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস সহ যেসব মানুষ একেবারে সামনে থেকে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানান রানি। রবিবার সম্প্রচারিত রানির চার মিনিটের এই ভাষণটি রেকর্ড করা হয়েছে তাঁর উইন্ডসর ক্যাসলের হোয়াইট ড্রইং রুমে। বিবিসির একজন মাত্র ক্যামেরাম্যান সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর গোটা শরীর ঢাকা ছিল নিরাপদ পোশাকে। অন্য টেকনিশিয়ানরা উপস্থিত ছিলেন পৃথক ঘরে। দূরত্ব বজায় রাখার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হয় প্রতি মুহূর্তেই।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের এই মর্মস্পর্শী ভাষণে অনেকেই তাঁর বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ভাষণের প্রতিধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন। দুই ক্ষেত্রেই সঙ্কটের মুহূর্তে দেশকে একত্রিত করার প্রচেষ্টা স্পষ্ট। প্রতি বছর বড়দিনের বার্তা ছাড়া ব্রিটিশ রাজা বা রানির এইভাবে বিশেষ ভাষণ রাখার ঘটনা বিরল। এর আগে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বিশেষ ভাষণ দেন মাত্র চারবার। ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময়, ১৯৯৭ সালে যুবরানি ডায়ানার শেষকৃত্যের আগে, ২০০২ সালে রাজমাতার মৃত্যুতে এবং ২০১২ সালে নিজের হীরক জয়ন্তী উপলক্ষে।
করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছে ব্রিটিশ রাজ পরিবারেও। আক্রান্ত হয়েছেন রানির ছেলে যুবরাজ চার্লস। আপাতত তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে শুধু রাজপরিবার নয়, ভাইরাস হানার মুখে পড়তে হয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকেও। তবে অসুস্থতাও মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী ফোনে নিয়মিত রানির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন বলে সরকারি সূত্রে খবর। এরকম কঠিন পরিস্থিতিতেই দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে বিশেষ ভাষণ দিলেন রানি। ছবি: এএফপি
