ঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
সূত্র অনুযায়ী, ২৬ জানুয়ারি ভারতীয় দূতাবাসের সামনে ‘রাইজ ফর কাশ্মীর’ নামে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের ডাক দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ব্রিটেনে পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলির সব প্রতিনিধিই পরিকল্পিত এই প্রতিবাদ কর্মসূচি সম্পর্কে অবগত। লন্ডনের ভারতীয় কূটনীতিকরা বিষয়টি তোলার পর ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, তাঁরা নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবেন। লন্ডনের মেয়রের দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, মিছিলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষমতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে। অতীতের হিংসা, শত্রুতা ও আগ্রাসী মানসিকতায় মেয়র খুবই হতাশ হয়েছিলেন। কেউ যদি কোনও বেআইনি কাজ করেন, তাহলে তিনি পুলিসের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন।
পরিকল্পিত বিক্ষোভে কোনও রকম মদত বা পাকিস্তানের যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন তেহরিক-ই-কাশ্মীরের সভাপতি। উল্টে তাঁর দাবি, এখানে কোনও রাজনৈতিক দল নেই। ব্রিটিশ কাশ্মীরি ও শিখেরা এই প্রতিবাদ দেখাতে চলেছেন। সেখানে কোনও রকম হিংসা হবে না। দুই থেকে তিন হাজার মানুষ জড়ো হবেন বলে তাঁদের প্রত্যাশা। তবে তিনি যাই বলুন, ভারতীয় দূতাবাসের ভবন ও আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়রা। প্রতিবাদের স্থান যাতে বদল করা হয়, সেজন্য ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেছেন তাঁরা।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসের বাইরে প্রতিবাদ কর্মসূচি এই প্রথম নয়। গত বছর কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পরও ভারতীয় দূতাবাসের বাইরে প্রতিবাদ হয়েছিল। সেই প্রতিবাদ থেকে হিংসা ছড়িয়েছিল। দূতাবাস ভবনে ভাঙচুর চলেছিল। খলিস্তানপন্থী বিক্ষোভকারীরা ভারতীয় পতাকা পুড়িয়ে দিয়েছিল। শোনা যাচ্ছে, সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রস্তাবিত বিক্ষোভেও খলিস্তানপন্থীরা যোগ দিতে পারে। এই বছরে খলিস্তানের দাবিতে ‘রেফারেন্ডাম ২০২০’-র সময়সীমা এগিয়ে আসছে। সেই প্রেক্ষিতে খলিস্তানপন্থীদের অনেকেই উত্তর ইংল্যান্ড থেকে লন্ডন আসছে সাধারণতন্ত্র দিবসের বিক্ষোভে যোগ দিতে।