ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
মূলত অ্যাডভান্সড ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ অর্গানাইজেশন (এইরো) এবং পাকিস্তান অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের (পিএইসি) জন্য আমেরিকায় উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি করত অভিযুক্ত ৫ জন। এর জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স অভিযুক্তদের কাছে ছিল না বলেই জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে জাতীয় সুরক্ষা বিষয়ক মার্কিন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জন ডিমার্স একটি বিবৃতিতে জানান, অভিযুক্তরা এমন এক সংস্থাকে মার্কিন পণ্য রপ্তানি করত, যাকে জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে বহু বছর আগেই ‘বিপজ্জনক’ তকমা দেওয়া হয়েছে। ওই সংস্থার সঙ্গে পাকিস্তানের অস্ত্র প্রকল্পের চুক্তির কথা জানার পরই আমেরিকা এই পদক্ষেপ নেয় বলে বিবৃতিতে জানিয়েছেন ডিমার্স। উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে পিএইসি-কে এবং ২০১৪ সালে এইরো-কে এন্টিটি তালিকায় যুক্ত করে আমেরিকার কমার্স ডিপার্টমেন্ট। এই তালিকায় থাকা সংস্থাগুলিতে মার্কিন পণ্য রপ্তানি করতে আলাদা লাইসেন্স প্রয়োজন হয়।
এদিকে, এই চোরাচালানের ঘটনা সামনে আসায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। এর ফলে ভারত-সহ পাকিস্তানের সব প্রতিবেশী দেশেরই উদ্বেগ বেড়েছে। মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষকর্তা জেসন মোলিনার বক্তব্যেও সেই উদ্বেগের কথা উঠে এসেছে। জেসনের কথায়, ‘ওই পাঁচজনের কার্যকলাপ মার্কিন রপ্তানি আইন লঙ্ঘন করেছে। সেই সঙ্গে ভারতীয় উপমহাদেশের অন্য রাষ্ট্রগুলির জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রেও বড় বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
পাকিস্তানের অস্ত্রভাণ্ডারে পরমাণু অস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। কিন্তু তাদের নিজস্ব কোনও পরমাণু প্রযুক্তি নেই। বিভিন্ন দেশ থেকে চুরি করে ওই পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার তৈরি করেছে ইসলামাবাদ। তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হল, ঠিক ১৬ বছর আগে জানুয়ারি মাসে এমন আরও একটি চুরি ধরা পড়েছিল পাকিস্তানের। সেবার শিরোনামে এসেছিল পাক বিজ্ঞানী এ কিউ খানের নাম। একটি ডাচ সংস্থার কাছ থেকে পরমাণু অস্ত্রে ব্যবহৃত সেন্ট্রিফিউজ প্রযুক্তি চুরি করেছিলেন ওই বিজ্ঞানী। ওই প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করেই আটের দশকে পরমাণু বোমা বানিয়েছিল পাকিস্তান। পরে ইসলামাবাদ ওই প্রযুক্তি চীনের সাহয্যে উত্তর কোরিয়াকে বিক্রি করে দেয়। পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে লিবিয়া এবং ইরানকেও ওই পাক বিজ্ঞানী সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সেই স্মৃতিই উস্কে দিয়েছে এবারের ঘটনা। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস এবং ভারত বিরোধিতায় পাকিস্তান তাদের চিরশত্রুতার অবস্থানই বজায় রাখবে।