কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
চলতি মাসেই কেন্দ্রীয় সরকার কর্পোরেট করের হার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫.১৭ শতাংশ করেছে। যাতে করক্ষেত্রে বিশ্বের বড় অর্থনীতির দেশগুলির সঙ্গে ভারতকে সমতুল করে তোলা সম্ভব হয়। দেশীয় অর্থনীতির চলতি শ্লথ গতি কাটিয়ে উঠতে যা ভালো দাওয়াই বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। এদিন ব্লুমবার্গ গ্লোবাল বিজনেস সামিটের মঞ্চ থেকেও কর্পোরেট কর হ্রাসের কথা তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বললেন, যদি এমন কোনও বাজারে বিনিয়োগ করতে চান যেখানে সুনির্দিষ্ট মাপকাঠি রয়েছে, তবে ভারতে আসুন। যদি একটি বিশাল বাজারের স্টার্ট-আপে লগ্নি করতে চান, ভারতে আসুন। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে চাইলে ভারতে আসুন। ভারত দ্রুত গতিতে আধুনিকীকরণ করছে শহরগুলির। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও নাগরিকবান্ধব পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাই যদি নগরোন্নয়নে বিনিয়োগ করতে চান, ভারতে আসুন। পাশাপাশি ভারতে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এর আগে কোনওদিন এতটা মুক্ত হয়নি। তাই সেখানেও বিনিয়োগের বড় সুযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, ব্যবসার পরিবেশ আরও মসৃণ করার লক্ষ্যে দ্বিতীয় দফায় তাঁর সরকার ৫০টি আইন রদ করেছে। ব্লুমবার্গ গ্লোবাল বিজনেস সামিটের মঞ্চ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্বকেও তুলে ধরেন তিনি। মোদির কথায়, সোশ্যাল মিডিয়া সুশাসনের বড় অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে।
ব্লুমবার্গ গ্লোবাল বিজনেস সামিটে বক্তব্য রাখার পাশাপাশি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় উন্নয়নশীল দ্বীপরাষ্ট্রগুলির বৈঠকেও যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলিকে সৌর ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি এবং পরিবেশ সংক্রান্ত প্রকল্পগুলিতে সাহায্যের লক্ষ্যে ১৫ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। পাশাপাশি রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদর দপ্তরে গান্ধী সোলার পার্ক ও গান্ধী শান্তি উদ্যানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব ও অন্য রাষ্ট্রনেতারা। বর্তমান বিশ্বে মহাত্মা গান্ধীর মতাদর্শের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন তিনি। মোদি বলেন, জয়বায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ ও দুর্নীতির মতো চ্যালেঞ্জগুলিতে জর্জরিত বর্তমান বিশ্ব। এই চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় নৈতিকভাবে দিকনির্দেশ করতে পারে গান্ধীজির মতাদর্শগুলি। তবে গতকাল মোদি-ট্রাম্পের বৈঠকের আগে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে ডায়েট কোকের বোতল থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জলবায়ু সম্মেলনে মোদি যেখানে প্লাস্টিকে ব্যবহার বন্ধের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছেন, সেখানে ডায়েট কোকের প্লাস্টিকের বোতল থাকাকে তিনি কীভাবে মেনে নিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস এর আগে রিপোর্ট করেছিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দৈনিক ১২টি ডায়েট কোক খান।