সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
বিহার থেকে বাংলা, সর্বত্র মোদি বলছেন, একদিকে ইন্ডি জোট আর অন্যদিকে বিজেপি ও এনডিএ। দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের পর শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে যে বিবৃতি জারি করেছেন, সেখানে তিনবার উচ্চারণ করেছেন এনডিএ শব্দটি। অথচ বিগত ১০ বছরে জোট শরিকদের কার্যত উপেক্ষাই করতেন মোদি। তার জেরে একের পর এক শরিক জোট ছেড়ে চলে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অথবা বিজেপির মুখে এনডিএ কথাটি শোনাও যেত না। প্রচার ছিল মোদিকেন্দ্রিক। কিন্তু ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোটের পর কী হল? হঠাৎ প্রধানমন্ত্রীর শব্দচয়ন বদলে গেল কেন? তবে কি প্রথম দু’দফার ভোটের পর মোদি আঁচ করে ফেলেছেন যে ৪০০ পার দূর অস্ত, একাকী বিজেপি গরিষ্ঠতাই পাবে না? নইলে মরিয়া হয়ে এনডিএ আঁকে ধরা চেষ্টা কেন? তাঁর চির পরিচিত আমিত্ব আপাতত পিছনের সারিতে চলে যাওয়ায় প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে কংগ্রেস।
শনিবার কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম বলেছেন, মোদি সরকার স্লোগান উধাও। কয়েকদিনের জন্য শোনা যাচ্ছিল, বিজেপি সরকার। কিন্তু শুক্রবার থেকে শোনা যাচ্ছে শুধুই এনডিএ সরকার। ১৯ এপ্রিলের পর থেকে নাটকীয় পরিবর্তন হয়ে গেল কেন? প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আরও বলেছেন, কংগ্রেসের ইস্তাহার নিয়ে গত ৫-১৯ এপ্রিল কোনও উচ্চবাচ্য করেননি প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু প্রথম দফার ভোট গ্রহণের পর কংগ্রেসের ইস্তাহারই প্রধান আলোচ্য। তাই চিদম্বরমের কটাক্ষ, ‘ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী!’
এই পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনী পর্বে বাংলায় মোদিকে দিয়ে এবার আর ব্রিগেড সমাবেশ করাবেই না বিজেপি। গত দু’বার তা করা হলেও বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর সভায় পর্যাপ্ত ভিড় নিয়ে সংশয় রয়েছে। সেই কারণে দল এমন সিদ্ধান্তের পথে হাঁটছে বলে রাজনৈতিক সূত্রে দাবি। বিজেপির অন্দরের খবর, কেন্দ্রীয় স্তরে বড়সড় জমায়েতের ঝুঁকি নিতে চাইছে না গেরুয়া শিবির। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার স্বয়ং জানিয়েছেন, আপাতত এব্যাপারে কোনওরকম ভাবনাচিন্তা নেই।