সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
মঙ্গলবার ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) ও বিএসএফের যৌথবাহিনী কাঙ্কেরের বিনাগুন্ডা গ্রামের কাছে ছোটে বেথিয়ার জঙ্গলে মাওবাদীদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। দুপুর দুটো নাগাদ মাওবাদীরা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। যৌথবাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়। তাতেই মৃত্যু হয় ২৯ জন মাওবাদীর। প্রশাসন সূত্রে খবর, আহত তিনজনের মধ্যে দুই বিএসএফ জওয়ানের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে ডিআরজি-র এক সদস্য আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।
এদিনের অভিযান প্রসঙ্গে বিএসএফের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বিএসএফ ও ডিআরজি অভিযান চালায়। অন্যদিকে, বস্তারের আইজি সুন্দররাজ বলেন, ‘যেখানে এই সংঘর্ষ হয়েছে, সেই এলাকাটি আবুজমাড়, গড়চিরৌলি ও উত্তর বস্তারের সংযোগস্থল। আমাদের কাছে খবর ছিল শঙ্কর, ললিতা ও রাজুর মতো শীর্ষ মাওবাদী নেতারা ওই এলাকা রয়েছে। তারপরই অভিযান চালানো হয়।’ সুন্দররাজ জানিয়েছেন, গুলির লড়াইয়ের পর এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ২৯টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রও ওই এলাকায় পাওয়া গিয়েছে। যে জওয়ানরা আহত হয়েছেন, তাঁদের এয়ারলিফট করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের দমন করতে ২০০৮ সালে ডিআরজি তৈরি করা হয়েছিল। একইসঙ্গে উপদ্রুত এলাকায় প্রচুর বিএসএফ জওয়ানও মোতায়েন করা হয়েছে। গত মাসেই কাঙ্কের জেলায় মাওবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াইয়ে এক মাওবাদী ও এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময়ও বন্দুক, বিস্ফোরক উদ্ধার করে নিরাপত্তা বাহিনী। এদিনের সংঘর্ষ সহ চলতি বছরে বস্তার এলাকায় ৭৯ জন মাওবাদীর মৃত্যু হল।