সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
বিজেপি জোটের মুখ্যমন্ত্রী হয়েও নীতীশ কুমার একাধিকবার বিরোধীদের সুরেই সরব হয়েছেন। এনডিএতে থাকাকালীন তিনি বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে দিল্লি এসে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি জাতিগত জনগণনার দাবি করেছেন। এবার নতুন মন্ত্রিসভায় আরও আগ্রাসী হচ্ছে এই দাবি। বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করানোর চিন্তাভাবনা এবং উদ্যোগ চলছে। জাতপাতের ভিত্তিতেও জনগণনা হোক, এই দাবিতে ওই প্রস্তাব পাশ করানো হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে সেই প্রস্তাব রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো হবে। যাতে মোদি সরকার চাপে পড়ে। কারণ, প্রথম থেকেই কাস্ট সেন্সাসে রাজি নয় মোদি সরকার। চিরাচরিতভাবে যে জনগণনা হয় সেখানেই তফসিলি জাতি, উপজাতি অথবা ওবিসিদের উল্লেখ পৃথকভাবে থাকে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে কোনও জাতিগত সেন্সাস সম্ভব নয় বলে একাধিকবার জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই কারণেই আরও বেশি করে এই দাবি তোলা হবে বিহার থেকে।
আগামী বছর একঝাঁক রাজ্যে ভোট। অনগ্রসরদের দাবিকে সামনে রেখে এই রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে বিজেপিকে কোণঠাসা করতে চাইছেন নীতীশ-তেজস্বী। তাঁদের সমর্থন করছেন অখিলেশ যাদবও। এখনও পর্যন্ত কোনও বিজেপি বিরোধী দল এই দাবির বিরোধিতা করেনি। অর্থাৎ প্রায় সব বিরোধীর সমর্থন রয়েছে। অন্তত বিরোধিতা যে করা হবে না, সেটা স্পষ্ট। পক্ষান্তরে বিজেপি তথা মোদি সরকার চাপে পড়ছে। কারণ এই দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে না, এই প্রচার জোরদার করে অনগ্রসর ও দলিত ভোটব্যাঙ্কের কাছে বার্তা পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে মোদি সরকার অনগ্রসরদের স্বার্থরক্ষায় আগ্রহী নয়। তাই মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, কাস্ট সেন্সাস, গরিবের প্রকল্প বন্ধ না করা ইত্যাদি একঝাঁক ইস্যুতে বিরোধীরা আক্রমণের মাত্রা বাড়াচ্ছে। দিল্লি এসে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার পর শুক্রবারও তেজস্বী যাদব বলেছেন, বছরে ২ কোটি চাকরি কোথায় গেল? বাজারে জিনিসপত্রের দাম কত মোদি সরকার জানে? মন্দির মসজিদ নয়, আমাদের একটাই দাবি, বেকার যুবসমাজকে চাকরি দিতে হবে। মূল্যবৃদ্ধি কমাতে হবে। কাস্ট সেন্সাস করতে হবে।