সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
জনসনের মুখপাত্র মেলিসা উইট জানিয়েছেন, দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে শীর্ষস্থান ধরে রাখতে আমরা ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সামগ্রীর মূল্যায়ন করি। ক্রেতাদের চাহিদা, ভৌগলিক অবস্থান সহ একাধিক বিষয় খতিয়ে দেখা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত। যদিও ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহারের অভিযোগ মানতে চায়নি সংস্থা। এদিন তারা সাফ জানিয়েছে, পণ্যের সুরক্ষা নিয়ে আমাদের অবস্থান একই থাকছে।
বিগত কয়েক দশক ধরে প্রতিটি পরিবারের অঙ্গ হয়ে উঠেছিল জনসনের পাউডার। সংস্থার দাবি, এতে ব্যবহৃত খনিজ ত্বক শুষ্ক রাখতে সাহায্য করে। ফলে বাচ্চাদের ডাইপার র্যাশের সমস্যা ঠেকানো যায়। তবে বারবার বিতর্কে জড়িয়েছে এই প্রোডাক্ট। অভিযোগ, ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’-এর বেবি পাউডারে বিষাক্ত খনিজ, ক্ষতিকর অ্যাসবেস্টসের গুঁড়ো মেশানো হয়েছে। ল্যাবে নাকি তার নমুনাও পাওয়া গিয়েছিল! বিশেষজ্ঞদের দাবি, এর ব্যবহারে ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ে। এছাড়াও জনসনের পাউডার ব্যবহারে জরায়ুর ক্যান্সারেও আক্রান্ত হয়েছেন কয়েক হাজার মহিলা। এমনও অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৮ সালে এসংক্রান্ত এক মামলায় জনসনকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ২০ জন মহিলাকে আড়াইশো কোটি ডলার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল মার্কিন আদালত। এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতেও গিয়েছিল সংস্থা। কিন্তু, সেখানে রায় বহাল রাখা হয়। প্রোডাক্টের গুণমান ও শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে মামলার বহর বাড়তে থাকে। সূত্রের খবর, শুধু আমেরিকাতেই ৪০ হাজারের উপর মামলা দায়ের হয়। এর খরচ চালাতে গিয়ে ব্যাপক আর্থিক সঙ্কটে মুখে পড়ে জনসন। কার্যত দেউলিয়া হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। ভবিষ্যতে এ সংক্রান্ত মামলার জন্য একটি ট্রাস্টে ২০০ কোটি ডলার সরিয়ে রাখা হয়।