সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
এটাই অবশ্য প্রথম নয়। বেশ কিছুদিন ধরে কাশ্মীরে ‘টার্গেট কিলিং’ চলছে। বহিরাগত শ্রমিকদের বেছে বেছে খুন করছে জঙ্গিরা। এর আগে উপত্যকায় জঙ্গিদের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে ভিন রাজ্য থেকে আসা ফুচকা বিক্রেতা থেকে কাঠের মিস্ত্রি এমনকী ইটভাটার শ্রমিককে। ফলে বিভিন্ন রাজ্য থেকে রুটিরুজির খোঁজে আসা শ্রমিকদের উপত্যকায় আদৌও কোনও নিরাপত্তা নেই বলে অভিযোগ উঠেছে।
কাশ্মীর পুলিসের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে জঙ্গিরা বিহারের এক শ্রমিককে গুলি করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
বিহারের শ্রমিক খুনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এদিন আবার দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গিরা এক পুলিস আধিকারিককে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিস ও সিআরপিএফের যৌথ নাকা চেকিং চলছিল। সেসময়ই হামলা হয়। অনন্তনাগের বিজবেহেরা এলাকার ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন গুলাম কাদির নামে এক স্পেশাল পুলিস অফিসার (এসপিও)। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরই গোটা এলাকা ঘিরে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিস।
রাজৌরির সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের উপত্যকায় রক্ত ঝরায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের আগে এভাবে পর পর জঙ্গি হামলায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিস ও নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সাধারণ মানুষ। আতঙ্কে ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের অনেকেই উপত্যকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন।
বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনুসিংভি টুইটবার্তায় বিহারের ওই মৃত শ্রমিকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে কেন্দ্রকে নিশানা করে তাঁর তোপ, বিহারের আরও একজন শ্রমিককে খুন হতে হল। কাজের সন্ধানে কাশ্মীরে এসে যদি এভাবে খুন হতে হয়, তা হলে বোঝা যায় কেন্দ্র সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে কতটা ব্যর্থ। তারা যদি নিরীহ মানুষজনকে নিরাপত্তা দিতে না পারে, তা হলে কীভাবে তারা নিজেদের সফল বলে দাবি করে?