কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
বৃহস্পতিবার রেলমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রে জানানো হয়েছে, কৃষকদের ওই আন্দোলনের জেরে কয়লা পরিবহণ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪৬টি রেকে দু’লক্ষ টন কয়লা পরিবহণের কথা ছিল বিভিন্ন পাওয়ার প্ল্যান্টে। কিন্তু কৃষকদের রেল অবরোধের জেরে তা সময়মতো পৌঁছতেই পারেনি। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রায় দু’লক্ষ টন কয়লা ৩২২ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। মোটামুটিভাবে যা দু’দিনের বিদ্যুতের জোগান দিতে পারে একটি রাজ্যে। ফলে সময়ে তা না পৌঁছলে অন্ধকারে ডুবে যেতে পারে সংশ্লিষ্ট রাজ্য। রেলমন্ত্রক সূত্রে অভিযোগ করা হয়েছে, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী শুধুমাত্র আন্দোলনকারী কৃষকরাই। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, অক্টোবরের গোড়ার দিকে যখন তীব্র জল্পনার সৃষ্টি হয়েছিল, অন্ধকারে ডুবে যেতে পারে রাজধানী দিল্লি, সেইসময় কেন্দ্রই জানিয়েছিল পর্যাপ্ত কয়লা মজুত রয়েছে। কোনও সমস্যা হবে না। এমনকী বিদ্যুৎমন্ত্রকের পক্ষ থেকে ‘ফ্যাক্ট শিট’ও প্রকাশ করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে এই মুহূর্তে ভোলবদলে ফের অন্য অবস্থান নেওয়া হচ্ছে কেন, সেই প্রশ্ন তুলছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। সারা ভারত কিষান সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা বলেন, ‘যত দোষ, নন্দ ঘোষ। সব কিছুর জন্য কৃষকরাই দায়ী। কেন্দ্র সেটিই প্রমাণ করতে চাইছে। সংবাদমাধ্যমেই দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখি হয়েছে, কয়লা সঙ্কট হতে পারে। তখন কোনও সমস্যা হয়নি। কৃষকরা অবস্থানে বসতেই ছবি বদলে গেল?’ অন্যদিকে, এদিনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্রসিং তোমার এবং কৈলাস চৌধুরীর ইস্তফা দাবি করেছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। সংযুক্ত কিষান মোর্চার অভিযোগ, ‘সিঙ্ঘুর ঘটনায় যে গোষ্ঠী জড়িত, সেই নিহাঙ্গ গ্রুপের নেতার সঙ্গেই ছবি রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। এর থেকে স্পষ্ট, সিঙ্ঘুর ঘটনায় ষড়যন্ত্র করেছে কেন্দ্রীয় সরকারই।’ সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি করেছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা।