কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
যদিও তারই মধ্যে সামান্য অস্বস্তিতে পড়লেন বারাণসীর এক বাসিন্দার টিকাকরণে। জানুয়ারি থেকে করোনার ফ্রি টিকাকরণ শুরু হলেও এতদিন তিনি ভ্যাকসিন নেননি জেনে প্রধানমন্ত্রী বলেই ফেললেন, ‘এত দেরি করে ফেললেন কেন? বারাণসীর এমপি (নরেন্দ্র মোদি) তো কবেই ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তাঁকে দেখেও উৎসাহিত হননি?’ বিনয়ীভাবে জনৈক টিকা গ্রহীতা জানালেন, ‘ভেবেছিলাম বেনারসি হুঁ। যোগ চর্চাও করি। করোনা কিছু করতে পারবে না। কিন্তু পরে ভুল ভাঙল। তাই আজ প্রথম ডোজ নিতে এলাম। আর সেখানে আপনার দেখা পেয়েও ধন্য হলাম।’
বুধবার রাত থেকেই শুরু হয়েছিল ১০০ কোটি ডোজের মাইল ফলক ছোঁয়ার প্রস্তুতি। তাই বৃহস্পতিবার সকাল হতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে শুরু করে হরিয়ানার ঝজ্জরে এইমসের এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান হয়ে বিকালে সুষমা স্বরাজ ভবনে মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল ১০০ কোটি পার করার সাফল্য। সবাই উঠে দাঁড়িয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। যদিও এখনও গোটা দেশের ১৮ ঊর্ধ্ব মাত্র ৩০ কোটি নাগরিকই পেয়েছেন দুই ডোজের সম্পূর্ণ ভ্যাকসিন। সিঙ্গল ডোজ মিলেছে ৭১ কোটির বেশি নাগরিকের। তাই সরকার যতই সেলিব্রেশনের সানাই বাজাক, আদতে করোনার বিপদ এখনও কাটেনি বলেই ওয়াকিবহাল মহলের মত। কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে, দুটি ডোজের সম্পূর্ণ ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের স্থান ১৯ নম্বরে। তাও এত কীসের উৎসব পালন? কোভ্যাকসিন এবং কোভিশিল্ড ছাড়াও আরও দুটি করোনার ভ্যাকসিন তৈরি হয়েও কেন তা দেওয়া হচ্ছে না? শিশু-কিশোরকিশোরীদের ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সফল হলেও কেন তা এখনও শুরু হচ্ছে না? তাছাড়া করোনার কবলে পড়ে যে সাড়ে চার লক্ষ মানুষ মারা গেল, তাঁদের পরিবার পরিজনের জন্য কী করেছে মোদি সরকার? প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা।