উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
মিচেল সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ হলেও সেখানে নাম নেই প্রাক্তন সিএজি শশিকান্ত শর্মার। কারণ, শর্মাকে বিচারের কাঠগড়ায় তোলার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমতি সিবিআই এখনও পায়নি। সিবিআই সূত্রে খবর, শর্মা ও প্রাক্তন এয়ার ভাইস মার্শাল যশবীর সিং পানেসারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য গত সপ্তাহে প্রয়োজনীয় অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
দুর্নীতির এই মামলায় ক্রিশ্চিয়ান মিচেলের ভূমিকা কী ছিল, কীভাবে সে আমলাদের প্রভাবিত করে অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ডের জন্য চুক্তি নিশ্চিত করেছিল, সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে তার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। কীভাবে সে ঘুষের টাকা সরকারি কর্তাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল, তাও বিস্তারিতভাবে উঠে এসেছে চার্জশিটে। এই কাজে মিচেলকে সাহায্য করেছিল দুবাইয়ের ব্যবসায়ী রাজীব সাক্সেনা। গত বছর জানুয়ারি মাসে সাক্সেনাকে প্রত্যর্পণের মাধ্যমে ভারতে আনা হয়েছিল। লেটার্স রোগেটরির মাধ্যমে পাঁচটি দেশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি ও তথ্য-প্রমাণ হাতে পেয়েছে সিবিআই। এই দেশগুলি হল ব্রিটেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মরিশাস, ইতালি ও তিউনিশিয়া। সিবিআই সূত্রে খবর, কপ্টার দুর্নীতির মামলায় রাজনীতিবিদদের ভূমিকা কী ছিল, এই চার্জশিটে সেবিষয়ে তথ্য পেশ হয়নি।
১২টি বিলাসবহুল হেলিকপ্টার কেনার জন্য ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বরাত পেয়েছিল অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড। এই কপ্টারগুলি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্যদের ব্যবহারের জন্য কেনা হতো। ২০০৭ সালে মনমোহন সিং সরকারের আমলে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যদিও দুর্নীতির অভিযোগে তার ছ’বছর পর চুক্তি বাতিল করে দেওয়া হয়। অভিযোগ, বরাত নিশ্চিত করতে ৩৬২ কোটি টাকার ঘুষ দিয়েছিল অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড। ২০১৬ সালে এই মামলার দায়িত্ব নেয় সিবিআইয়ের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে প্রথম চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই। সেই তালিকায় নাম ছিল প্রাক্তন এয়ার চিফ মার্শাল এস পি ত্যাগীর।