সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
দিল্লির বাসিন্দা লীলাবতীদেবী। গত বছর ডিসেম্বর মাসে তিনি স্বামীকে হারান। তাঁর দুই ছেলে। দিল্লিতে ছোট ছেলের কাছেই থাকতেন তিনি। মুম্বইয়ে থাকেন তাঁর বড় ছেলে। চার মাস আগে চিকিৎসা করাতে লীলবতীদেবী মুম্বই এসেছিলেন। ছিলেন বড় ছেলের বাড়িতে। শনিবার সেই ছেলে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন বলে অভিযোগ। ফুটপাতে বসে কাঁদতে কাঁদতে লীলাবতীদেবী বলছিলেন, ‘আমার অসুস্থতার খবর পেয়ে বড় ছেলে আমাকে আসতে বলেছিল। কিন্তু এই লকডাউনের মধ্যে আমাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেবে, ভাবতেই পারছি না। আমার স্বামী নেই। ছেলেরা ছাড়া আমি থাকব কোথায়?’
রেল সূত্রে খবর, মুম্বইয়ের বান্দ্রা রেলওয়ে টার্মিনাস সংলগ্ন একটি ফুটপাতে বসে ছিলেন লীলাবতীদেবী। রেলের সিনিয়র ডিভিশনাল অপারেশনস ম্যানেজার সুহানি মিশ্র বলেছেন, ‘মুম্বই সেন্ট্রালের রেলকর্মীরা ওই বৃদ্ধাকে অসহায়ের মতো বসে থাকতে দেখেন। তাঁরা বৃদ্ধার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন তিনি দিল্লি যাবেন। সেই মতো দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেসের এসি টু-টিয়ারের সংরক্ষিত আসনের টিকিট কেটে দেওয়া হয়। কিছু খাবার-দাবারও বৃদ্ধার হাতে তুলে দেওয়া হয়।’ সুহানি জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে ছোট ছেলের কাছে পৌঁছে যাবেন লীলাবতীদেবী।