ফিরদৌস হাসান, শ্রীনগর, ২৮ মে: ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জয়েশ-ই-মহম্মদের গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত হন ৪০ জওয়ান। আতঙ্কের স্মৃতি উস্কে ফের একই ধাঁচে হামলার ছক। এবং সেই পুলওয়ামাতেই। যদিও পুলিস, অধাসেনা ও সেনার যৌথ তল্লাশিতে ভেস্তে গেল নাশকতার সেই ছক। উদ্ধার হল অন্তত ৪০ থেকে ৪৫ কেজি বিস্ফোরক সহ একটি স্যান্ট্রো গাড়ি। পুলিস জানিয়েছে, গাড়িটিতে ভুয়ো নম্বর প্লেট ছিল। বুধবার রাতে গাড়িটি চেক পয়েন্টের ব্যারিকেড ভেঙে পালানোর চেষ্টা করে। নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালায়। গাড়ি ফেলে রেখে অন্ধকারের সুযোগে পালিয়ে যায় চালক। তার খোঁজ চলছে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিসের ডিজি দিলবাগ সিং বলেন, এটা পুরোপুরিভাবে জঙ্গি সংগঠনগুলির মিলিত চক্রান্ত। তবে, সন্ত্রাসের এই কারখানা পাকিস্তানে অবস্থিত। আইজি বিজয় কুমার বলেন, পুলওয়ামার ধাঁচে ফের হামলা হতে পারে বলে গোয়েন্দা সূত্রে আগাম খবর ছিল আমাদের কাছে। আমরা গতকাল থেকেই খুঁজছিলাম গাড়িটিকে। বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশি চলছিল। রাজপোরার আয়েগুন্দ এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির মুখে পড়ে চালক পালালেও গাড়িটি থেকে বিপুল পরিমাণে আইইডি উদ্ধার হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীকে নিশানা বানাতে হিজবুল ও জয়েশ জঙ্গিরা মিলিতভাবে এই ছক কষেছিল। কিন্তু সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়ায় বড় নাশকতা এড়ানো গেল। হিজবুল ও জয়েশের হয়ে কাজ করা আদিল নামে এক জঙ্গি এর পিছনে রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে রয়েছে আরও দুই জঙ্গি। রমজান মাসেও তারা হামলার চেষ্টা করে। কিন্তু, আমাদের জোরালো অভিযানের মুখে পড়ে তা সফল হয়নি।
ডিজি দিলবাগ সিং বলেন, বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িটিকে রাতভর নজরদারিতে রাখা হয়। আশপাশের বাড়িগুলি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন সকালে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড গাড়ি সহ উদ্ধার হওয়া আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করে দেয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুলিস একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিস্ফোরণে কেঁপে উঠছে গোটা এলাকা। তারপর ঘন সাদা ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিসের সৌজন্যে প্রাপ্ত ছবি।